• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে মুখরিত ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল


ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৪, ০৪:৫৯ পিএম
পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে মুখরিত ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল
পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে মুখরিত ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল। ছবি : প্রতিনিধি

উপক𝓰ূলীয় জেলা ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল ও দ্বীপগুলোতে পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে। নানা প্রজাতির রং-বেরংয়ের পাখির কিচির-মিচির শব্দে মুখরিত চরের নানা প্রান্ত। বিশেষ করে ডুবোচরগুলোতে দেখা যায় দল বেঁধে পাখিদের 💛খুনসুটি। কাদার মধ্যে খাবার সংগ্রহ করা, ডুব সাঁতার কিংবা পাখিদের উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য যে কারো মন ভোলায়। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা দল বেঁধে মেতে ওঠে জলকেলিতে। সুদূর সাইবেরিয়াসহ দূর-দূরান্ত থেকে আসা এসব অতিথি পাখি বছরের নভেম্বরের প্রথম দিকে আসতে শুরু করে এবং মার্চ পর্যন্ত অবস্থান নেয়।

এদিকে পাখি শিকারকে নিরুৎসাহিত করার জন্য স্থানীয় বন বিভাগের পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা। একই সঙ্গে পাখিদে♕র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জোরদার করা হয়েছে টহল। ফলে অতিথি পাখিদের অবাধ বিচরণে প্রকৃতিকে করেছে আরও প্রাণবন্ত। যেসব চর জোয়ারে ডুবে যায় ও ভাটার সময় জেগে ওঠে এমন চরগুলোতে পাখিরা বেশি আসছে। কারণ কাঁদা-মাটিতে পাখিদের খাবার উপাদান থাকে।

সাধারণত এসব চরে জুলফি পানচিল, গাঙচিল, সোনাজিরিয়া, উত্তরীয় লেঞ্জাহাঁস, কালোলেজ জৌরালি, ইউরেশিও গুলিন্দা, ধূসর মাথা টিটি, সিথি হাঁস, খꦉুন্তে হাঁস, খয়রা চখাচোখি, ছোট পাকৌরী, ছোট বগা, বড় বগা, পিয়ঙ হাঁস, ধূসর বগা, পাতি হাঁস, কালো মাথা গাঙচিল, ছোট ধলাজিরিয়া, ছোট নর্থ জিরিয়া, গো বগা, মেটে রাজ হাঁস, পাতি বাটান, চেগা, পাতি চেগাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা মেলে।

পাখি পর্যবেক্ষক এম এ মুহিত জানান, উপকূলীয় এলাকার অতিথি পাখিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো ভোলা। এখানে অনেক নির্জন চর রয়েছে, যাতে পাখিদের নিজস্বতা রক্ষা পায়। এ সময়ে সারা বিশ্বে বিপন্ন এমন অনেক পাখি এ চরাঞ্চলে দেখা যায়। যেমন চামুচ ঠুটো বাটন, ইন্ডিয়ান স্কিমার, নার্ন সেভেলারসহ অনেক পাখღি। প্রকৃতি ভালো রয়েছে বলেই পাখিরা আসছে। তাই পাখিরা যাতে বিরক্ত না হয়, সেই ব্যাপারে সবাইকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) জেলার দক্ষিণের ঢালচর, মনপুরা চর, কলাতলীর চর, চর কুকরি মুকরি, চর শাহজালাল, চর শাজাহান, চর পিয়াল, আইলউদ্দিন চর, চরনিজাম, চর পাতিলা, ডেগরারচরসহ মেঘনা-তেঁতুলিয়ার উপকূলবর্তী মাঝের চর, চর চটকিমারা, মদনপুরাসহ বিভিন্ন চরে গিয়ে দেখা যায় পাখিদের আনাগোনা। শীতের সকালে গায়ে কুয়াশা মেখে পাখিরা উড়ছে আপন মনে। চারদিকে সাগর-নদী, চর আর সবুজ গহীন বনের দুপাশে পাখিদের কিচির-মিচির ম♊াতিয়ে রাখে সকাল-বিকেল। কান পাতলেই শোনা যায় পাখির ডাক।

চর কুকরি-মুকরির চর-পাতিলায় দেশি-বিদেশি পাখি দেখার জন্😼য বন বিভাগের রয়েছে পাখি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এখান থেকেই চরের অতিথি পাখি সহজেই দেখা যায়। 𒅌চর পাতিলায় পাখি দেখতে আসা লিয়াকত হোসেন ও সুমন রহমান বলেন, ব্যস্ত ও শব্দের শহরের বাইরে এটা একটি ভিন্ন জগৎ। বিশেষ করে শীতের সময়ে এখানকার প্রধান আকর্ষণ অতিথি পাখি। তাই পাখি দেখছেন ও সুযোগ পেলে পাখির ছবি তুলছেন।

অপর পর্যটক কবির হোসেন বলে🥃ন, শীতের সময় শুষ্ক মৌসুম হওয়াতে ডুবো চরগুলো জেগে থাকে। সেই সঙ্গে চলে চরে অতিথি পাখির আনাগোনা। যা অপরুপ মায়ায় মন ভরে যায়।

চর কুকরি-মুকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসেম মহাজন বলেন, এ বছর মৌসুমের শুরু থেকেই এখানে অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। এ পাখি দেখার জন্য অনেক পর্যটক ভিড় করছেন কুকরিতে। চর কুকরি-মুকরির পাখি সংরক্ষণ ও ব꧙িচরণ নির্বিঘ্ন করতে লিফলেটসহ বিভিন্ন সচেত🦹নতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ভোলার বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, “প্রতিবছরের মতো এবারও আমাদের চরগুলোতে বিপুল পরিমাণ অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে। এসব পাখির অবাসস্থল যাতে কেউ বিনষ্ট করতে না পারে সেব্যাপারে আমাদের বন কর্মীসহ সবাই সচেষ্ট রয়েছেন। তবে আশার কথা হলো মানুষ এখন অনেক 🐻সচেতন হয়েছে। তারা পখি শিকার থেকে নিজেদের বিরত রাখছেন।”

বন কর্মকর্তা আরও বলেন, “অতিথি পাখিরা না এলে আমাদের প্রকৃতির সমস্যা হবে, এটা এখন মানুষ বুঝতে পা🐻রছে। এছাড়া পাখি শিকার বন্ধ করতে লিফলেট বিতরণসহ অনান্য প্রচাꦗরণা চালানো হচ্ছে। প্রতিটি রেঞ্জ থেকে আমাদের টহল জোরদার করা হয়েছে।”

Link copied!