নওগাঁর মান্দা উপজেলা নদীতে হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন তারেক ইসলাম নামের এক যুবক। বর্তমানে তার খামারে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫০০🏅 হাঁস রয়েছে। হাঁস পালন করে প্রতি মাসে তিনি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করছেন।
তারেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খামার করার আগে দীর্ঘদিন অন্যের খামারে কাজ করেছেন তিনি। পরে নিজেই খামার করার পরিকল্পনা করেন। শ্রমিকদের পাশাপাশি খামারটি বড় করতে দিন-র♉াত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি নিজেও। এখান থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সন্তানদের লেখাপড়া ও অন্যান্য খরচ বহনের পাশাপাশি পরিবারে ফিরিয়েছেন সচ্ছলতা। তার এই খামারে স্থানীয় অনেক বেকার ꦏযুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
খামার দেখাশোনার দায়িত্ꦡবে থাকা তরুণ এক কর্মচারী জানান, প্রতিদিন সকালে হাঁসগুলো নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। সারা দিন হাসগুলো নদী থেকে খাবার সংগ্রহ করে। এ সময় হাঁস দেখাশোনার জন্য তারও নদীতে থাকতে হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে হাসগুলো খামারে ন🌠িয়ে যান। প্রতিদিন এই খামার থেকে ২০০ থেকে ২২০টি ডিম উৎপাদন হয়।
খামারি তারেক বলেন, বদ্ধভাবে হাঁস পালনের চেয়ে নদী বা বিলে পালন করলে দ্রুত সফল হওয়া যায়। হাঁসগুলো নদীতে ঘুরে খাবার সংগ্রহ করে, ত🔯াই খরচ তুলনা♏মূলক কম হয়।
তারেক আরও বলেন, বর্তমানে🐭 তার খামারে বিভিন্ন জাতের প্রায় ৫০০ হাঁস রয়েছে। তবে খাকী ক্যাম্বল জাতের হাঁস পালন করে তিনি অধিক লাভবান হচ্ছেন। খাকি ক্যাম্বেল জাতের হাঁস ২৪ মাস বয়স পর্যন্ত নিয়মিত ডিম দেয় এবং পরে আস্তে আস্তে ডিম দেওয়া কমতে থাকে। বিভিন্ন ꦚএলাকা থেকে লোকজন ডিম ও হাঁস কিনেতে আসেন। অনেকে আবার খামার করার জন্য পরামর্শও নেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে মান্দা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুজ্জামান বলেন, হাঁস পালন একটি লাভজনক পেশা। তারেকের মতো জেলার অনেকে এখন এই পেশায় ঝুঁকছে। তাই নতুন এই উদ্যোক্তাদের বিভিন🌳্ন প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে।