• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


আমের রাজধানীতে সৌদি খেজুরের বাজিমাত


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৩, ০৫:০৯ পিএম
আমের রাজধানীতে সৌদি খেজুরের বাজিমাত
বাগানে খেজুর পরিচর্যা করা হচ্ছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জকে আমের রাজধানী বলা হলেও এবার সৌদি আরবের ১০ জাতের খেজুর বাগান করে সফল হয়েছেন মোশাররফ হোসেন (৩ꩲ৪) নামের এক উদ্যোক্তা।

মোশাররফ জেলার শিবꦚগঞ্জ উপজেলার দায়পুকুরিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের ইনসান আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে💝 জানা যায়, মোশাররফ হোসেন ২০১৯ সালে উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় ১৩০০ গাছ লাগিয়ে খেজুর চাষ শুরু করেন। এখন তার খেজুর বাগানে গাছের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। প্রথমে এলাকাবাসী উপহাস করলেও গত ২ বছর ধরে খেজুরের ফলন দেখে সবাই এখন অবাক। বর্তমানে তার বাগানে ঝুলছে আজোয়া, মরিয়ম, দাবাস, বারিহী, চেগিসহ অন্তত ১০ জাতের খেজুর।

মোশাররফ হোসেন বলেন, “আমিসহ আমার পরিবারের সকলে আম চাষ করি। কিন্তু গত কয়েক বছর আম চাষ করে আমাদের লোকসান হয়। পরে আমি অন্য ফল চাষের চিন্তা করি। এরপর ইউটিউব দেখে সৌদি আরবের খেজুর চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠি। প্রথম পর্যায়ে পরিবার সহায়তা না করায় ২০১৯ সালে প্রায় ২ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে শুরু করেছিলাম। আত্মবিশ্বাস থাকলেও কিছুটা ভয়𓆏েই ছিলাম প্রতিবেশীদের কটাক্ষ দৃষ্টির কারণে। তবে পরবর্তী দুই বছরে খেজুরের ফলন দেখে স্থানীয়রাও উৎসাহ দিচ্ছেন। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে চারা কিনতে আসছেন অনেকে।”

মোশাররফের ভাই শামসুল আলম বলেন, “আমের ব্যবসা ছেড়ে খেজুর বাগান করায় মোশাররফকে আমরা উপহাস করেছিলাম। এখন দেখি সে ভালো কাজ করেছে। আমরা আমের ব্যবসা না ছেড়ে এখনো লোকসান গুনছি। বিগত বছরের মতো এবারও সে ১৫ থেকে ১৭ লাখ টাকার খেজুর বিক্রি করবে বলে আমি আশাবাদী। আমি মাঝে ♊মাঝে তার বাগান দেখতে আসি।ꦐ খুব ভালো লাগে।”

স্থানী♐য় বাসিন্দা গোলম আজম বলেন, “মোশাররফের খেজুর বাগানকে প্রথমে অনেকেই গুরুত্ব দেননি। কিন্তু গত বছর হঠাৎ দেখি তার 🦄বাগানের গাছগুলোতে থোকায় থোকায় ১০ জাতের খেজুর ঝুলছে।এলাকাবাসীর ওপর অভিমান করে গত বছর একটি খেজুরও বিক্রি করেননি। গ্রামবাসীকে খাইয়েছেন। মোশাররফ দেখিয়ে দিয়েছেন মির্জাপুরের মাটিতেও সৌদির খেজুর চাষ করা সম্ভব।”

জেলা শহর থেকে চারা কিনতꦏে আসা আতিক হাসান বলেন, “সামাজিꦦক যোগাযোগমাধ্যমে মোশাররফের বাগানের খেজুর দেখেছি। এ খেজুর আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। তাই এক কেজি খেজুর ১৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। খেয়ে খুব ভালো লেগেছে। তাই এবার চারা কিনতে আসলাম।”

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, “এই উপজেলায় আম বাগান বেশি হওয়ার কারণে এই জেলা আমের রাজধানী নামে বিশ্বখ্যা♍ত। তবে ইউটিউব দেখেও যে কেউ ভিন্ন চিন্তা করে আমের রাজ্যে সৌদি আরবের খেজুর ফলাতে পেরেছেন, মোশাররফ হোসেন তার একটা উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এতে আম চাষিদের মতো তিনিও লাভবান হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ সবসময় মোশাররফের পাশে আছে।”

জেলায় সৌদির খেজুর চাষ🌳ে আলোড়ন সৃষ্টিতে✤ মোশাররফের পাশাপাশি অন্যদেরও নানাভাবে পরামর্শ দেওয়া হবে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!