• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


ঈদের সেমাই নিয়ে অভিমান, যুবক বয়সে বাড়ি ছেড়ে ফিরলেন বৃদ্ধ হয়ে


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম
ঈদের সেমাই নিয়ে অভিমান, যুবক বয়সে বাড়ি ছেড়ে ফিরলেন বৃদ্ধ হয়ে
পরিবারের সঙ্গে বৃদ্ধ রফিকুল ইসলাম। ছবি : প্রতিনিধি

১৯৯০ সালে ঈদের দিন꧂ সেমাই না আনায় বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি ছেড়েছিলেন ২৮ বছর বয়সী রফি𝐆কুল ইসলাম। প্রতি বছর ঈদ আসে, ছেলে আর ফিরে আসে না। বাবা-মা অপেক্ষায় থাকতেন এই বুঝি ছেলে রফিকুল বাড়ি ফিরল। এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে ৩৪টি বছর। আবার এসেছে ঈদুল ফিতর, অবশেষে অভিমান ভেঙে বাড়ি ফিরেছেন রফিকুল।

জানা যা🐭য়, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের নৈশ্বরকাটি গ্রামের মতলেব সরদ্দারে বড় ছেলে রফিকুল ইসলাম। ১৯৯০ সালে ঈদুল ফিতরের দিন সেমাই না আনায় বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান রফিকুল ইসলাম। এরপর কুমিল্লার মুরাদপুর উপজেলার চুলুরিয়া গ্র🅺ামে বসবাস শুরু করেন। সেখানে বিয়ে করে সংসার পাতেন, রয়েছে ১ ছেলে ও দুই মেয়ে।

রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই মহিদুল সরদার বলেন, “আমার বড় ভাই ঈদের দিন আব্বা সেমাই না আনার কারণে আম্মার সঙ্গে রাগ করে বাড়ি থেকে চলে যান। এরপর আমাদের সঙ্গে দুই বছর পর্যন্ত তার যোগাযোগ ছিল। তারপর থেকে আমার বড় ভাইকে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও পাইনি। হঠাৎ করে সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে আমাদের গ্রামের মসজিদে সামনে আসে আমার বড় ভাইয়ের ছেল🌠ে আব্দুর রশিদ সরদার। সেখানে আমার এক ভাইপোর কাছে আমাদের বাড়ির কথা জিজ্ঞেস করেন। পরে সে তাকে বাড়িতে নিয়ে এলে তার কাছ থেকে সব কিছু শুনে আমার♚ অন্য ভাইদের সঙ্গে কথা বলে চুলুরিয়া গ্রামে গিয়ে বড় ভাইকে নিয়ে আসি। এখন আমরা সবাই অনেক খুশি।”

রফিকুল ইসলামের মা শুকজান বিবি বলেন, “আমার বড় ছেলে রফিকুল ইসলামকে আমরা দ🍨ীর্ঘ বছর পর আজ দেখতে পেলাম। আমার বুকের ধন ফিরে এসেছে, আমরা অনেক খুশি।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!