• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


জয়পুরহাটের আড়তে নেই চামড়া কেনার প্রস্তুতি


জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
জয়পুরহাটের আড়তে নেই চামড়া কেনার প্রস্তুতি

প্রতি বছর কোরবানির ঈদে জয়পুরহাটের আড়তগুলো থেকে প্রায় ৭০ কোটি টাকার পশুর চামড়া ঢাকায় সরবরাহ করা হয়। তবে এ বছর জেলার চামড়ার আড়তগুলোতে নেই কোনো প্রস্তুতি। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা🤪 জানিয়েছেন, বর্তমান বাজারে এমনিতেই লোকসান, তার ওপর ট্যানারি মালিকদের প্রায় ৪০ কোটি টাকার বাকি দিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেক চামড়া ব্যবসায়ী। এ অবস্থায় চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্যানারি মালিকেরা গত কয়েক বছরের কোটি কোটি পাওনা টাকা এখনো পরিশোধ করেননি। এছাড়া প্রতি বছর ট্যানারি মালিক𓃲দের বেধে দেওয়া দামের চেয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে চামড়া কেনায় বিপাকে পড়েছেন মূল ব্যবসায়ীরা। সীমান্ত জেলা হওয়ায় চামড়া পাচারের আশঙ্কাও থাকে এখানে। সেইসঙ্গে চামড়ার প্রধান কাঁচামাল লবণের দাম এবং শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় সব মিলিয়ে ౠব্যবসায়ীরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই বকেয়া টাকা পরিশোধে ট্যানারি মালিকরা যেন উদ্যোগ নেন এবং ব্যাংকগুলো যেন সহজ শর্তে ব্যবসায়ীদের লোন দেয়, এ বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।

গোলজার হোসেন নামের এক চামড়া ব্যবসায়ী জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে তারা আড়তগুলো প্রস্তুত রেখেছেন। তবে ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা টাকা না পাওয়ায় তারা বিপাকে রয়েছেন চামড়া কেনা নিয়ে। এদিকে ব্যাংক লোন পরিশোধ করতে না পারায় নতুন করে লোন দিচ্ছে না। যার কারণে আসন্ন ঈদে ♌নতুন করে চামড়া কেনা মুশকিল হয়ে পড়বে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।

গোলজার আরও জানান, ট্🎃যানারি মালিকেরা সবসময় সিন্ডিকেট করে চামড়া কেনেন এবং দাম পরিশোধের বেলাতেও 🐲সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অল্প করে টাকা দেন, যা দিয়ে ব্যবসা চালানো যায় না।

পাঁচবিবি উপজেলার চামড়া ব🎀্যবসায়ী অহেদুল হোসেন ছোটন জানান, চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাচাররোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে এ শিল্প লাভের মুখ দেখবে।

কোরবানির আগে পুঁজি সরবরাহ করে 𒊎চামড়া শিল্পকে সচল রাখবে ট্যানারি মালিকেরা এমন আশা ব্যক্ত করেছেন জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি শামিম আহমেদ। তিনি জানান, দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক🌠্তি চামড়া শিল্পের প্রসারে কাঁচামাল লবণের দাম স্থিতিশীল রাখাসহ চামড়া পাচাররোধ ও বকেয়া টাকা পরিশোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে এ শিল্প টিকে থাকবে।

এদিকে সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচাররোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাহিদ নেওয়াজ। তিনি জানান, চোরাকারবারিরা সীমান্ত এলাকার যে জায়গায় তাদের পাচারের পথ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে, সেই জায়গাগুলো সবস💃ময় নজরদারির মধ্যে রাখা হয়।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!