কোচিং থেকে ফেরার পথে মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে, এ অভিযোগে কিশোরীর বাবা এক তরুণের বিরুদ্ধে༒ থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধারের পর কিশোরী আদালতকে জানায়, তাকে অপহরণ করা হয়নি, প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে প্রেমিককে বিয়ে করেছে সে। ঘটনাটি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর একট🅘ি গ্রামের।
পুলিশ বলছে, কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তরুণের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা নেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মেয়েটির ঠাঁই হয়েছে সেফ হোমে।
এ ঘটনা সিনেমার গল্পকে হার মানিয়েছে। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে কিশোরী বলেছে, ওই তরুণের সঙ্গে তার চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। হিন্দু-মুসলিম প্রেমের সম্পর𒈔্ক জানাজানি হলে স্থানীয় গ্রাম্য সালিসে ওই তরুণকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও পিটিয়ে জখম করা হয়। এরপর তরুণকে তার পরিবার অন্য জায়গায় বিয়ে দেয়। কিন্তু ꦫগোপনে তারা দুজন যোগাযোগ বজায় রাখে। পরে তরুণ তার বিবাহিত স্ত্রীকে তালাক দেয় এবং তারা দুজনে পালিয়ে যায়।
১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কিশোরীকে অপহরণ করা হয়েছে এমন অভিযোগে ১৯ সেপ্টেম্বর ফুলবাড়ী থানায় মামলা করেন কিশোরীর বাবা। পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালিয়ে গত শুক্রবার ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তার করে। পরে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই কিশোরী জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দির পর কিশোরী তার পরিবারের কাছে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। এমন পরিস্থিতিতে আদালত ওই কিশোরীকে রাজশাহীতে সেফ হোমে পাঠান। আর অভিযুক্ত ওই তরুণকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ফুলবাড়ী থানার ওসি নওয়াবুর রহমান বলেন, কিশোরীর বয়স ১৮ বছর না হওয়ায় তাকে রাজশাহীতে সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে। আর তরুণকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এটি কোনো ধর্মীয় ইস্যু কিংবা অജপহরণ ⛎নয়। প্রেমঘটিত কারণে মেয়েটি ঘর ছেড়েছিল।