সাত বছর বয়সী শিশু সন্তান মাইশা খাতুনকে হত্যার অভিযোগে মা পপি ღখাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আদালতে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সন্তানকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দী দেন তিনি।
সোমবার (৬ মে) সকালে চুযꦺ়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নিহত মাইশা ভোগাইল বগাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মা-বাবার ব༒িচ্ছেদ হলে মায়ের সাথে মাইশা নানা বাড়িতেই থাকত। 🍒অপরদিকে অভিযুক্ত পপি খাতুন আলমডাঙ্গা ভোগাইল বগাদি গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে ও নিহত মাইশার মা।
পুলিশ জানায়, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোগাইল বগাদী গ্রামের মাইশা খাতুন নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। মোবাইল চার্জার নিয়♏ে খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় বলে ধারণা করা হয়। তার মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওইদিন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়। অপমৃত্যু মামলার তদন্তকারী কর্মকꦦর্তার স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হলে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় শিশুকন্য মাইশার শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্টের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরই ভিত্তিতে গত ৩ মে নিহত মাইশার নানা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনওামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, এঘটনার পর মামলার তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল 🔥পরিদর্শনে গিয়ে মা পপি খাতুনের কথা বলেন। কথা বার্তায় সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসেন। একপর্যায়ে তিনি স্বেচ্ছায় এই হত্যার দায় স্বীকার করেন। পারিবারিক কারণে নিজেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলেಞ জানান তিনি।