• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


নোমান্সল্যান্ডে দুই বাংলার মিলনমেলা


বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩, ০৪:৫৫ পিএম
নোমান্সল্যান্ডে দুই বাংলার মিলনমেলা

আন্তর্জাতিক মাতৃ⭕ভাষা দিবসে বেনাপোল চেকপোস্টের নোমান্সল্যান্ডে দুই বাংলার ভাষাপ্রেমীদের জন্য মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে কাঁটাতারের বেড়া ভুলে সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। ꧒ 

দুই দেশের মানুষের এ꧂ই মিলনমেলাকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে &nbs🐓p;বিজিবি ও বিএসএফ। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে নোম্যান্সল্যান্ডে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা। ভৌগলিক সীমারেখা ভুলে কেবলমাত্র ভাষার টানে দুই বাংলার মানুষ একই মঞ্চে তুলে ধরেন বাংলা ভাষার জয়গান।

“বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমাদের প্রাণ কাঁদে। তাই তো বারবার ছুটে আসি দুই দেশের বাঙালী বাংলাভাষী মানুষের পাশে। ভাষা দিবসের এই দিনে থাকে না কোন জড়তা। জয় বাংলা ধ্বনি দিত🃏ে আমাদেরও মন চায়। আমরা চাইনা কাঁটাতারের বেড়া। মিলে মিশে একাকার হয়ে থাকতে চাই যেমনটি করেছেন আমাদের পূর্ব পুরুষেরা।” এভাবেই মনের আকুতি প্রকাশ করছিলেন বারাসাত থেকে আসা দীলিপ বাড়ই, হাবড়ার নমিতা দেসহ অনেকেই।

দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, যশোর-১ (শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধিদল নোম্যান্সল্যান্ডে শহীদ বেদীর পাদদেশে পৌঁছালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বিধায়ক শ্রীমতি বীনা মণ্ডল, বন♋গাঁও পৌর চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ, সাবেক সাংসদ মমতা ঠাকুরের নেতৃত্বে ভারত থেকে আসা হাজার হাজার বাংলাভাষী মানুষ বাংলাদেশীদের ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নেন।

এ সময় ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল, ২১ উদযাপন কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু ও সচিব শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, এবং ভারতের পক্ষে বিশেষ অতিথি বনগাও পৌর সভার মেয়র গোপাল শেঠসহ অনুষ্ঠানে উভয় দেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ✨সংগঠনগু অংশ নেয়। একপর্যায়ে দু’দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ছাড়াও প্রশাসনের কর্মকর্তারা অস্থায়ী শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর দুই দেশের জাতীয় পতাকা, নান🏅া রঙের ফেস্টুন, ব্যানার, প্লে­কার্ড, আর ফুল দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় নোম্যান্সল্যান্ড এলাকা। দুই বাংলার মানুষের এ মিলনমেলায় উভয় দেশের সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে উৎসাহের আমেজ সৃষ্টি হয়। একে অপরকে আলিঙ্গন করে সকল ভেদাভেদ যেন ভুলে যায়।

ফুলের মালা, মিস্টি ও ফুল বিনিময়🍷 করে উꩲভয় দেশের আবেগপ্রবণ অনেক মানুষ বাঙালীর নাড়ির টানে একজন অপরজনকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন। ক্ষণিকের জন্য হলেও স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো নোম্যান্সল্যান্ড এলাকা।

Link copied!