কক্সবাজারে শিশু আবিদকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনার মূল আসামি অটোরিকশাচালক তারেক আজি🌼জকে গ্রেপ্তার♏ করেছে র্যাব-১৫।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১৫ কক্সবাজার 🔯ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আনোয়ার শামীম।
এর আগে এদিন ভোরে তারেক আজিজকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। &﷽nbsp;এ সময় তার কাছ থেকে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার তারেক আ☂জিজ নিহতের চাচাতো ভাই ও মধ্যম জুমছ🌳ড়ির মো. আজিজের ছেলে।
র্যাব জানায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের পশ্চিম জুমছড়ি নামক এলাকা👍 থেকে নিখোঁজ হয় আবিদ। নিখোঁজের একদিন পরেই একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যা𝕴য়। এ ঘটনায় আবিদের বাবা মো. ইসহাক বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর থেকে ঘটনার ছায়া তদন্তে নেমে র্যাব সদস্যরা তারেক আজিজকে গ্রেপ্তার করেন।
র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞেসাব🍸াদে তারেক শিশু আবিদকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তারেক জানিয়েছেন,তিনি দীর্ঘ দিন ধরে তার চাচাতো বোনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হয়ে তার আপন চাচাতো ভাই আবিদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই লক্ষ্যে প্রায় সময় আবিদের জন্য চকলেট, আচার ও অন্যান্য খাবার নিয়ে আসতেন। যাতে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আবিদ বাড়ির পাশের রাস্তায় খেলা করছিল। এ সময় তারেক আজিজ আবিদকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে অটোরিকশায় তুলে পিএমখালী ইউনিয়নের জুমছড়ি হিন্দুপাড়ার বাঁকখালী নদীর পাড়ে নিয়ে যান। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার সঙ্গে খেলাধুলা করেন। সন্ধ্যার পরে নদীর পাশে একটি পুকুরপাড়ে তাকে বেঁধে রেখে বাড়িতে ⛄চলে আসেন তারেক।
সন্দেহ এড়াতে কৌশলে তিনিও বাড়ির লোকজনের সঙ্গে আবিদকে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। একপর𓂃্যায়ে কোথাও না পেয়ে সবাই বাড়িতে চলে গেলে তারেক আবার সেই পু♚কুর পাড়ে গিয়ে আবিদের মায়ের মোবাইলে কল করে ছেলেকে অপরহরণের কথা বলেন এবং তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। না দিলে আবিদকে হত্যার হুমকি দিয়ে ফোন কেটে দেন। পরে আবিদকে পুকুরে নিয়ে গিয়ে পানিতে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে সেখানে মরদেহ ফেলে চলে আসেন।
র্যাব কমান্ডার আনোয়ার শামীম বলেন, তারেক আজিজ কিছুদিন আগেও একটি বিয়ে করেছিলেন।তারপরও চাচাতো বোনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রায় সময় উত্তক্ত করতেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরু💙দ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।