• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান করায় চাকরি গেল ইমামের


চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৪, ০৪:২৯ পিএম
সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান করায় চাকরি গেল ইমামের

জুমার নামাজের বয়ানে সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান করায় মাওলানা রহমত উল্লাহ না𒁏মের এক ইমামকে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ছেঙ্গারচর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের জোড়খালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সাꦚমাজিক যোগাযোগমাধ♐্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া এবং কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করায় চার পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের পরের শুক্রবার মসজꦚিদের ইমাম জুমার নামাজের সময় সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান করেন। এতে মসজিদ কমিটির লোকজন ক্ষেপে যায় এবং ইমামকে চাকরি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেন। এঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গত ২২ জুন ওই গ্রামের বাসিন্দা সাইফুদ্দিন ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে কয়েকজন মন্তব্য করেন।

এ ঘটনা মসজিদ কমিটি ও স্থানীয়দের সম্মানহানি হয়েܫছে দাবি করে গ্রামের চার পরিবারকে সমাজচ্যুত করে মসজিদ কমিটি। ক্ষমা চাইলে সিদ্ধান্ত বাতিল করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় কমিটির পক্ষ থেকে।

সাইফুদ্দিন বলেন, “ফেসবুকে কারও নাম লিখে পোস্ট করিনি। ♊পোস্টে ছিল- মসজিদের 🔯ইমাম পাল্টানো যায়। কিন্তু ঘুষখোর আর সুদখোর পাল্টানো যায় না।”

সাইফুদ্দিনের পোস্টে মসজিদ♋ কমিটির সম্মানহানি হয়েছে বলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছেন মসজিদ কমিটির সদস্য রুহুল আমিন মিয়াজীর। তিনি বলেন, “ওই বৈঠকে গ্র🔯ামের ৮০ থেকে ১০০ পরিবারের সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তখন চার পরিবারকে সমাজ থেকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”

স্থানীয় কাউন্সিলর সবুজ বেপারী বলেন, “এরইমধ্যে দুই পরিবার ক্ষমা চেয়েছে। পরিবারগুলো কꦚ্ষম🦹া চাইলে এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে গ্রামবাসী।”

চাঁদপুর সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সাবেক সভাপতি মোশারেফ হোসেন মিরন বলেন, “কোনো ব্যক্তিকে তার মৌলিক মানবাধিকাꦉর লঙ্ঘন করার ক্ষমতা সমাজ বা রাষ্ট্র কাউকে দেয়নি। এটাকে যত দ্রুত সমাধান করা যায়, ততই মঙ্গল। তবে সমাজ🃏চ্যুতের এই বিষয়টাকে প্রশাসনের শক্তভাবে মোকাবিলা করা উচিত।”

মতল♍ব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন রনি বলেন, “ইমামকে বিদায় দেওয়ার বিষয়টি জেনেছি। তবে পরবর্তী ঘটনা জানা নেই। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Link copied!