• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


গরুর দামে খুশি ক্রেতা, অসন্তুষ্ট বিক্রেতা


জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৪, ১০:০১ পিএম
গরুর দামে খুশি ক্রেতা, অসন্তুষ্ট বিক্রেতা

জয়পুরহাটে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। এবার হাটে প্রচুর প𒅌রিমাণে পশু রয়েছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে হাটে পশুর পরিমাণ🌳ও বেড়ে চলেছে। তবে হাটে ভারত ও মিয়ানমারের গরু ওঠার কারণে কাঙ্খিত দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ দেশি খামাড়িদের। 

এবছর ভারতের সীমান্তবর্তী জেলা জয়পুরহাটে প্রায় ১৪ হাজার খামারে পশু লালন পালন করেছেন খামারীরা। ইতোমধ্যে জেলার হাটগুলোতে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। উত্তরবঙ্গের সবচেয়🦄ে বড় পশুরহাট জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট। এ হাটে প্রচুর গরু আমদানি হয়েছে। হাটে বিভিন্ন ধরনের গরু আমদানি হলেও ক্রেতাদের চাহিদা ছোট-মাঝারি সাইজের গরু। তবে বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর দাম বেশি।

এদিকে হাট♕ে ভারত ও মিয়ানমারের গরু আসার কারণে কাঙ্খিত দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন দেশি খামাড়িরা। &ℱnbsp;

নওগাঁর বদলগাছীর কোলা গ্রাম থেকে একটি গরু নিয়ে হাটে এসেছিলেন আব্দুল হান্নান। সংবাদ প্রকাশকে তিনি বলেন, “তিন বছর ধরে একটি ষাড় গরু পালন করেছিলাম। আমার বাড়িতে ১৫ দিন আগে এই গরুটি ২ লাখ 💞টাকা দাম করেছিল। এখন দাম বলছে দেড় লাখ।”

সদর উপজেলার মাঝিপাড়া গ্রামের খামারি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “হাটে ভারতের গরু আসার কারণে দেশি গরুর দাম কমে গেছে। গরু প্রতি ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা করে লোকসান হচ্ছে। এজন্য গরু বিক্র♐ি করতে পারছি না।”

জামালগঞ্জ থেকে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, “বাড়ির পালন করা ৫টি গরু হাটে নিয়ে এসেছি। কিন্তু গরু বিক্রি﷽ করꦰতে পারছি না। বার্মার (মিয়ানমার) গরু এসে হাট ভরে গেছে। আগে যেই গরু ৩ লাখ ৮০ হাজার দাম বলেছিল, সেটা এখন ৩ লাখ দাম বলছে। সরকারের কাছে একটাই আবেদন অন্য দেশের গরু আসা যেন বন্ধ হয়।”

এদিকে দাম নিয়ে বিক্রꦐেতারা অসন্তুষ্ট হলেও খুশি ক্রেতারা। চুয়াডাঙ্গার রিপন হোসেন বলেন, “ছোট গরু কেনার জন্য এই হাটে এসেছিলাম। তবে ছোট গরুর দাম বেশি চাচ্ছে। বড় গরুর দাম কম। আমি ৫টা গরু কিনেছি। এখান থেকে গরু কিনে আমাদের জেলার হাটে বিক্রি করব।”

টাঙ্গাইল থেকে আসা আহসান হাবীব বলেন, “হাটে গরু বেশি হলেও বিক্রেতারা কম দামে গরু ছাড়🍃ছে না। আমি ৭টা গরু কিনেছি।”

হাটের ইজারাদার কালিচরণ আগরওয়ালা বলেন, “🧜হাটে এবছর পশু আমদানি বেশি। কিন্তু বিক্রি খুব কম। এর কারণ বার্মা (মিয়ানমার) থেকে গরু ঢুকেছে। আমরা হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। সিসি ক্যামেরা থেকে শুরু করে জাল নোট শনাক্তকরণসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হাটে নিরাপত্তা দিচ্ছে।”

জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মহির উদ্দীন বলেন, “জয়পুরহাট জেলায় এব♔ার স্থায়ী গরুর হাট ১১টি ও অস্থায়ী ১৬টিসহ মোট ২৭টি হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচা হচ্ছে। প্রতিটি হাটে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর থেকে ভেটেরিনারী টিম কাজ করছে। কোনো🐬 পশু অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”

Link copied!