• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


‘ভালো কাপড় পরে রেডি হও, আমি দ্রুত চলে আসব’ বলে লাশ হয়ে ফিরলেন মেরাজ


রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৪, ০১:৩৬ পিএম
‘ভালো কাপড় পরে রেডি হও, আমি দ্রুত চলে আসব’ বলে লাশ হয়ে ফিরলেন মেরাজ

রংপুর পৌর বাজারে ভ্যানে করে ▨কলা বিক্রি করতেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. মেরাজ। স্ত্রী, দুই সন্তান ও মাকে নিয়ে তার পরিবার। গত ১৯শে জুলাই শুক্রবার ছিল মেরাজ ও মোসাম্মত নাজনীন ইসলামের বিবাহবার্ষিকী।

সেদিন রাতে বাসাতেই ছোট্ট পরিসরে অনু⛄ষ্ঠান আয়োজ༒ন করেছিলেন তারা। সকালে বাজারও করেন। পরিবারের অন্যান্য আত্মীয়স্বজনদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

দুপুরে মসজিদে নামাজ পড়ে মেরাজ বাসায় ফেরেন। এরপর বিশ্রাম নিয়ে বিকেল পাঁচটা নাগাদ জুম্🅰মাপাড়ার বাসা থেকে বের হন মেরাজ। বাসায় স্ত্রী নাজনীন ইসলামকে রাতের অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি হতে বলেন। নাজনীন খুশিমনে রাতের অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। এমন 🌄সময় খবর এলো মেরাজের গায়ে গুলি লেগেছে।

খবরটি শুনের যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে নাজনীনের। দ্রুত বাসা থেকে বের হয়ে খবর নিয়ে চলে যান হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকরা তাকে দেখা করতে না দিয়ে বললেন, ‘আপা আপনি বাইরে যান, চিকিৎসা চলছে।‘ এর কিছুꦑ❀ক্ষণ পরেই খবর এলো মেরাজ আর বেঁচে নেই।

নাজনীন ইসলাম বলেন, “আমার সংসারের ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে ওইদিন। শুধু পৌরবাজারের সামনে ওনার দোকান ঢাকতে গেছিল, মহাজনের টাকা দিয়ে আসবেﷺ বলেছিল। আমাকে বলছে ভালো কাপড় পরে রেডি হও। আমি তাড়াতাড়ি চলে আসব- আমাকে বলে য🌸ায়।”

নাজনীন বলেন, “উনি বাইরে গেছে। মানুষ ছুটাছুটি করতেছিল। একজনের গায়ে গুলি লাগছিল। সেখান থ𝓀েকে তিনি সরে যাওয়ার সময়ই গুলিটা লাগছিল। পরে বাজারের লোকজন জানাইছে আপনার স্বামীর গুলি লাগছে। মেডিকেলে নিয়ে গেছে।”

সাড়ে পাঁচটায় রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে গিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ড☂ে স্বামীকে খুঁজতে থাকেন নাজ🐽নীন ইসলাম। পরে একজন পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হলে জানায় পাঁচতলার একটা ওয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে তাকে।

নাজনীন বলেন, “ওনার অক্সিজেন মুখে দেওয়া। যখন আমি গেছি- দেখি যেখানে গুলি লাগছে 💧ওই জায়গাটা মুছতেছে একটা ডাক্তার। চেহারার খুব খারাপ অবস্থা। আমারে দেখতে দিবে না, ডাক্তাররা আমাকে বের করে দেয় বꦏলে চিকিৎসা শুরু করতেছি আপা আপনি যান। কিছুক্ষণ পরেই শুনি মারা গেছে।”

কাঁদতে কাঁদতে নাজনীন বলতে থাকেন, “আমি তো কল্পনা করতেই পারতেছি না, কী হলো🐭। আমি কার কাছে যাব? কাউকে চিনি না। এতদিন কোনোক্রমে দিন এনে দিন খাইতে দিত। আমি সন্তুষ্ট থাকতাম। আমরা সুখে ছিলাম। এখন দুই সন্তান, শাশুড়িকে নিয়ে যে কী করব? ওপরওয়ালা𒐪ই জানে, আমি কিছুই বুঝতে পারি না!” 

Link copied!