• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


মহেশপুরে ১০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম
মহেশপুরে ১০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা
জমজমাট মহেশপুরের ফুলের বাজার। ছবি : প্রতিনিধি

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক ম🦹াতওৃভাষা দিবস উপলক্ষে জমজমাট ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফুলের বাজার। এ বছর এই দুই দিবসকে ঘিরে ১০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা করছেন চাষিরা।

এলাকাবাসী ও মহেশপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূ🎶ত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১৩৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে জারবেরা, গ্লাডিওয়ালা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা ও গাঁদা ফুল উল্লেখযোগ্য।

গত কয়েক বছরের তুলনায় এবা🌺রই বেশি ফুল চাষ হয়েছে। এক সময় শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত ছিল মহেশপুর। ধান ও গম ছাড়া তেমন কো🌄নো ফসল উৎপাদন হতো না এই অঞ্চলে। তখন উৎপাদনের ৭০ ভাগ শস্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হতো। বর্তমানে বিভিন্ন জাতের সবজি, পেয়ারা, পেঁয়াজ-রসুন, কলা, কমলা, মাল্টা লেবু ও কুল চাষ হচ্ছে। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য হারে শুরু হয়েছে ফুলচাষ।

এ বছর জেলার অ🥃র্ধেকের বেশি পরিমাণ ফুল চাষ হয়েছে মহেশপুরে। এবার দাম বেশি পেলে আগামী বছর ফুলচাষ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন মহেশপুর কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মধ্যে প্রায় সব জায়গাতে ফুল চাষ হয়েছে।

উপজেল🎀ার বিভিন্ন বাজারে জমজমাট ফুলের বেচা-বিক্রি। এর মধ্যে জারবেরা, গোলাপ ও রজনীগন্ধার চাহিদা বেশি। গাঁদা ফুলের ঝোঁকা বা মালা ত🐼ৈরি করে তা বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে। ঝোঁকা বা মালা তৈরির কাজে যুক্ত হয়েছেন গ্রামের নারী ও শিশুরা।

শ্যামকুড় ইউনিয়নের চাপা তলা গ্রামের ফুলচাষি নাজমুল ইসলা♋ম জানান, তারা গত কয়েক বছর ধরে ফুল চাষ করে আসছেন। ফুল চাষ করে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।

বোয়ালিয়া গ্রামের ফুলচাষি হারুন অর রশিদ জানান, তিনি🍸 দুই বিঘা জমিতে গাঁদ🍌া ফুল চাষ করেছেন। এখান থেকে ভালো লাভ পাওয়ার আশা করছেন তিনি।  

এ উপজেলায় মোট জমির পরিমাণ ৪৯ হাজার ২১০ দশমিক ২০ হেক্টর।♕ মোট ফসলি জমি রয়েছে ৪০ হাজার ৪৮০ হেক্টর। এর মধ্যে ফুল চাষ হয়েছে ১৩৫ হেক্টর জমিতে। গত বছর ছিল একশ হেক্টরের নিচে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্𒈔তা (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুজ্জামান জানান, ফুলের চাহিদা ও দাম বেশি পাওয়ায় চাষিরা ফুল চাষে ঝুঁকছেন। বর্তমানে জারবেরা ফুল ১৫-২০ টাকা, গ্লাডিওয়ালা ১০-১৮ টাকা, গোলাপ ১০-১৫ ট♑াকা, চন্দ্রমল্লিকা ৩-৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, একবিঘা জমিতে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার ফুল বিক🔜্রি করতে পারছেন চাষিরা। বর্তমানে মহেশপুরের ফুল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ হচ্ছে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুল কেনার জন্য ইতোমধ্যে বিভি♕ন্ন স্থান থেকে মহেশপুরের চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন পাইকারি ক্রেতারা। 

Link copied!