নওগাঁ জেলায় মাঠে মাঠে আলু রোপন শুরু হয়েছে। জমিতে হাল চাষ ও বীজ রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আলুর বীজ রোপণের জন্য তড়িঘড়ি করে আ🦹মন ধান কাটা-মাড়াই, জমিতে হালচাষ, জৈব সার ছিটানোর কাজ চলছে অনেক জায়গায়। এ বছর কৃষকরা লাভবান হওয়ায় এ অঞ্চলে আলুর আবাদ বেড়েছে। তবে আগের তুলনায় এবার দ্বিগুন খরচ বেড়েছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।
নিয়ামতপুর উপজেলার বরিয়া গ্রামের তরুণ কৃষক আলম হোসেন বলেন, “গত বছর আলুতে কিছুটা লোকসান হলেও এ বছর আলুর ভালো দাম পাওয়া গেছে। গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখেছি। তাই এ বছর প্রায় ২৮ বিঘা জমিতে আলুর চাষ কর🅠ছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং ফলন ভালো হলে আগামীতেও লাভবান হব।”
ছাতমা গ্রামের কৃষক রুবেল বলেন, “গত বছরের তুলনায় এ বছর আলুর বীজ, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়েছে। তাছাড়া শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। গত বছর ৫০ শত🧸ক জমিতে আলু চাষে খরচ হয়েছে ৩০-৪০ হাজার টাকা। এ বছর একই জমিতে খরচ হচ্ছে ৫০-৬০ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে কৃষকের খরচ গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে।”
জেলা কৃষি উপপরিচালক আ🐼বুল কালাম আজাদ বলেন, এ বছর জেলার ১১টি উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৫’শ হেক্টর। তবে এ বছর বাজারদর ভালো থাকায় আরও বেশি আবাদ হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আবুল কালাম আজাদ আরও জানান, বেশি লাভের আশায় কৃষকরা আগামজাতꦏের আলু চাষে নেমে পড়েছেন। আগামী জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসেই ღএই আলু বাজারে উঠবে।