শেরপুর সদর উপজেলার মধ্য বয়ড়া গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী খোরশেদ। বয়স ২ꦯ৮ হলেও দৈহিক উচ্চতা মাত্র সাড়ে ৩ ফুট। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রথমে খোরশেদের বিয়ের জন্য মেয়ে পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে অবশেষে শনিবার (১২ আগস্ট) জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ে সম্পন্ন হয় খোরশেদ আলমের। আর এ বিয়েতে অতিথি ছি🧜ল প্রায় ৫০০ জন।
খোরশেদের বাবা মোহন মিয়া জানান,💞 “তার চার ছেলে-মেয়ে। তবে অন্য সন্তানরা সুস্থ ও স্বাভাবিক। দারিদ্র্যতার ক﷽ারণে ১৪ বছর আগে একটি মোটরসাইকেলের গ্যারেজে শ্রমিক হিসেবে কাজে দেন খোরশেদকে।”
খোরশেদ বলেন, “প্রথমে কেউ তাকে কাজে না নিতে চাইলেও একপর্যায়ে শহরের তিনআনী বাজার মহল্লার আমিনুল ইসলামের গ্যারেজে কাজ পান। বর𒀰্তমানে সবাই তাকে দক্ষ মোটরসাইকেল মিস্ত্রী হিসেবে চেনে।”
মোটরসাইকেল গ্যারেজের মালিক আমিনুল ইসলাম বলেন, “খোরশেদকে প্রথমে কেউ কাজে না নিলেও আমি তাকে কাজে নিয়েছি। খুব অল্প সময়ে সে ভালো কাজ শিখে ফেলে। পরবর্তীতে তাকে অন্য গ্যারেজ মালিকরা ডাকলেও সে যায়নি। শুরুতে তাকে যারা প্রতিবন্ধী মনে করে অবহেলা করে কাজে নেয়নি। এখন সে কেন🎃 যাবে? তাই খোরশেদ ভালো অফার পেয়েও আমাকে ছেড়ে যায়নি। খোরশেদ শুধু কꦿাজে নয়, ব্যবহারেও সবার কাছে খুবই প্রিয়।”
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ন🦩াজমুন্নাহার বলেন, “প্রতিবন্ধী হয়েও যে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় খোরশেদ আলম তা দেখিয়ে দিয়েছে। তার বিয়েতে দাওয়াতে অনেক মানুষ এসেছেন। মানুষ তাকে ভালোবাসে বলেই তার ডাকে সাড়া দিয়েছেন।”