হিমালয় পর্বতমালার তৃতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের বরাবরই আকর্ষণ করে এসব জায়গা। ভারত বা নেপালে গিয়ে যাদের দেখার সুযোগ নাই তারা দেশে বসেই দেখতে পারেন অপরূপ সুন্দর এই শৃঙ্গ। সে জন্য যেতে হবে তেঁতুলিয়ায়। দেশের সর্ব-উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন (স্থলবন্দর) থেক♉ে হিমালয়ের এভারেস্ট শৃঙ্গের দূরত্ব ৭৫ কিলোমিটার আর কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব ১১ কিলোমিটার। মেঘ-কুয়াশামুক্ত আকাশের উত্তর-পশ্চিমে তাকালেই দেখা মেলে বরফ আচ্ছাদিত সাদা পাহাড়, কাঞ্চনজঙ্ঘা!বরফে ঢাকা শৃঙ্গ ভোরের আলোয় জেগে উঠে সোনালি রং ধারণ করে। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে দিনের অন্য সময়েও দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা।
কখন দেখা যায়
সারা বছর কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় না। 𝔍অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেশির ভাগ সময় তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পাওয়া যাবে।
কোথা থেকে দেখবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা
তেঁতুলিয়া ডাকবাংলোর🦂 অবস্থান মহানন্দার পাড়ে। এ ছাড়া পঞ্চগড় জেলা শহরসংলগ্ন করতোয়া সেতুতে দাঁড়ালে কিংবা শহরের কোনো উঁচু দালানে দাঁড়িয়েও উত্তরের মেঘমুক্ত আকাশে দেখা পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘার। পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়ায় যাওয়ার পথে সড়ক থেকেও কখনো সামনে, কখনো ডানে আবার 💧কখনো বাঁয়ে দেখা মিলবে কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোরম দৃশ্য।
যাবেন যেভাবে
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সড়কপথে এসি ও নন–এসি বাসে তেঁতুলিয়া যাওয়া যায়। যাওয়া যায় ট্রেনেও। পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস ও একতা এক্সপ্রেস ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে চলাচল করে। পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়ার দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। বাস কিংবা অন্য বাহনে পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়া উপজেলা শহরে যাওয়া যায় খুব সহজেই। &🍸nbsp;
থাকবেন যেখানে
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে যাওয়া পর্যটকদের জন্যই তেঁতুলিয়া ও বাংলাবান্ধা এলাকার আশপাশে গড়ে উঠেছে বে🐠শ কয়েকꦑটি হোটেল-মোটেল ও পিকনিক স্পট। এছাড়া পঞ্চগড় জেলা শহরে রয়েছে সার্কিট হাউসসহ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের গেস্টহাউস।
তেঁতুলিয়ায়🥂 রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি হোটেল ও বাংলো। বাংলোয় আগে থেকে যোগোযোগ করে থাকার ব্যবস্থা করꦬতে হবে।
এ 🐼ছাড়া তেঁতুলিয়ায় বেসরকারিভাবে হোটেল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইএসডিও পরি♉চালিত কটেজসহ বিভিন্ন আবাসিক হোটেল রয়েছে।