চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় অবস্থিত একটি সমুদ্র সৈকত বাঁশখালীর খꦇা🦩নখানাবাদ সৈকত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই সৈকতের বেড়িবাঁধের ওপর দাঁড়ালে সমুদ্রের ঢেউয়ের মাথায় সাদা ফেনা দেখে মন নেচে উঠবে। সারি সারি পাহাড় চূড়ায় নানা প্রজাতির বৃক্ষের সমাহার গ্রাম্য বধূর মতোই শান্তরূপ নিয়ে যেন দাঁড়িয়ে আছে। সুউচ্চ পাহাড়ের শীর্ষদেশে উঠে অনায়াসে দূরবীন ছাড়া খালি চোখেই দেখা যায় অদূরে বঙ্গোপসাগরের অথৈ জলরাশি। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের মতো নাই এখানে কোনও ভীর। যার ফলে এই জায়গা সহজেই পর্যটকদের মনে স্থান করে নিচ্ছে।
সৈকতটির দৈর্ঘ্য ৩৭ কিলোমিটার বিস্তৃত। এই ঝাউবনে ঘেরা বালুকাময় জায়গাটি দ্বিতীয় বাংলাদেশের ২য় দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর সৈকতটিতে ঝাউ গাছ রোপন করা হয়েছে এবং তৈরি হয়েছে ঝাউ বাগান। গাছগুলো বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্যও বেড়ে যায়। এর পর থেকে স্থানীয় পর্যটনের একটি গ🌠༒ুরুত্বপূর্ণ স্পট হয়ে উঠেছে এই সমুদ্রসৈকত।
চট্টগ্রাম শহর থেকে এই সৈকতের দুরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া, গন্ডামারা, সরল, বাহꦐারছড়া, খানখানাবাদ এলাকার উপকূলজুড়ে এই সৈকত অবস্থিত। সৈকতের পশ্চিম দিক জুড়ে পুরোটাই কুতুবদিয়া চ্যানেল। আর কাছেই রয়েছে আরও একটি আকর্ষনীয় ভ্রমণ গন্তব্য স্থান কুতুবদিয়া দ্বীপ।
যেভাবে যাবেন
দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে আগে চট্টগ্রামে যেতে হবে। চট্টগ্রাম শহরের নতুন ব্রিজ বা বহাদ্দারহাট ব▨াস টার্মিনাল হতে সিএনজি বা বাসে গুনাগরি বাজার নেমে লোকাল সিএনজিতে করে পৌঁছে যাবেন বাঁশখালীর খানখানাবাদ সৈকতে।