প্রথম দিনের ৪ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিলেন সফরকারী শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দীনেশ চান্দিমাল। এরপর দিনের প্রথম ঘন্টা বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়েই খেলছিলেন তারা। এর মধ্যে চান্দিমাল তার ক্যারিয়ারের ২১তম ফিফটিও তুলে নিয়ে হাত খুলে খেলছিলেন। সেখানেই বোলিংয়ে এসে একই ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নিয়েছেন অফস্পিনার নাঈম হাসা🍃ন।
তার স্পিন ভেলকিতে চান্দিমাল ৬৬ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার পর উইকেটকিপার ব্যাটার নিরোশান ডিকওলা একই ওভারে ফেরেন ব্যক্তিগত ৩ রান করে। নাঈমে൩র খাটো লেন্থꦛের বল পিছনে সরে মারতে গিয়ে সোজা বোল্ড হয়ে যান এই বাঁহাতি।
ফলে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে সফরকারী শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১১৬ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৩২🎃৭ রান। অভিজ্ঞ ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ১৪৭ ও রমেশ মেন্ডিস ১ রানে অপরাজিত আছেন।
বাংলাদেশের পক্ষে স্পিনার নাঈম হাসান ৪টি উইকেট লাভ করে🐟ন। এছাড়া তাইজুল ও সাকিবের শিকার ১টি করে।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গতকাল রোববার (১৫ মে) টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সফরকারীরা। শুরুতে বাংলাদেশি পেসার শরিফুল ইসলাম এবং খালেদ আহমেদের বিপক্ষে দেখেশুনে শুরু করেন দিমুথ করুনারত্নে আর ওসাদা ফার্নান্ডো। টাইগার পেসারদের টেক্কা দিয়ে প্রথম ৭ ওভারে ২২ রান করে বেশ ভালোভাবেই কাটিয়ে দেন তারা।
এরপর টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক বল তুলে দেন তরুণ অফস্পিনার নাঈমের হাতে। নিজের পঞ্চম বলেই শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক করুনারত্নেকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন এই বোলার। তার কুইকার বল করুনারত্নের প্যাডে লাগলে জোড়ালো আবেদন কর🦹েন। একটু সময় ♚নিলেও আম্পায়ার পরে আঙুল তুলে দেন। ফলে ১৭ বলে মাত্র ৯ রানেই সাজঘরে ফেরেন লঙ্কান অধিনায়ক।
এরপর আরেক ওপেনার ফার্নান্ডো দলকে এগিয়ে নেন কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে। ৩ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কা হাঁকিয়েও ফেলেছিলেন ফার্নান্ডো। কিন্তু এই ব্যাটারকেও🍸 ফেরান নাঈম। উইকেটের প📖িছনে লিটন দাসের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৭৬ বলে ৩৬ রান করেন ফার্নান্ডো।
এরপর কুশল মেন্ডিস ও ম্যাথিউস উইকেটে থিতু হন। পুরো দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের বোলারদের সামলে তুলে নেন নিজেদের ব্যক্তিগত ফিফটি। চা বিরতির আগে ইনিংসের ৪৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মেন্ডিস সিঙ্গেল নিয়ে তুলে নেন নিজের ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফ সেঞ্চুরি। অন্যদিকে ম্যাথিউস ক্যারিয়ারের ৩৮তম ফিফ𝄹টি তুলে নেন খা♏লেদ আহমেদের করা বলে রান নিয়ে।
তৃতীয় সেশনে দলীয় ১৫৮ রানে তাইজুলের স্পিন ঘুর্ণিতে নাঈম হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মেন্ডিস। ফলে ম্যাথিউসের সঙ্গে ৯২ রানের জুটির সমাপ্তি ঘটে। এরপর ধনঞ্জয়া ৬ রানে সাকিবের বলে দ্রুত বিদায় নিলেও একপ্রౠান্ত আগলে ধরে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন ম্যাথিউস। পঞ্চম উইকেট জুটিতে দীনেশ চান্দিমালের সঙ্গে অপরাজিত ৭৫ রানের জুটির সঙ্গে ম্যাথিউস তার ক্যারিয়ারের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন। ফলে ৪ উইকেটে ২৫৮ রানে স্বস্তিতেই দিন শেষ করে লঙ্কানরা। ম্যাথিউস ১১৪ ও চান্দিমাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ব্যক্তিগত ৩৪ রানে।
প্রথম সেশনে ২ উইকেটে ৭৩, দ্বিতীয় সেশনে বিনা উইকেটে ৮৫ ও শেষ সেশনে ২ উইকেটে ১০০ রান𝔍 করেছে লঙ্কানরা।