• ঢাকা
  • বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


স্ত্রীকে ফাঁসাতে সন্তানকে অপহরণের নাটক, যুবক গ্রেপ্তার


দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম
স্ত্রীকে ফাঁসাতে সন্তানকে অপহরণের নাটক, যুবক গ্রেপ্তার

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে ফাঁসাতে নিজের ৫ বছর বয়সী ছেলেকে অপহরণের নাটক সাজানোর অ𒆙ভিযোগে আবদুল্লাহ আল এলিন (৩২) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

স🅠োমবার (🏅২৩ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পালশা ইউনিয়নের চাটশাল সোনারপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে ফাঁসাতে ছেলেকে অপহরণের দায়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন আবদুল্লাহর স্ত্রী বাবলী খাতুন (২৩)। পরে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেক🐻র্ড করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আবদুল্লাহকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার আবদুল্লাহ ঘোড়াঘাট🍎 উপজেলার পালশা ইউনিয়নের চাটশাল সোনারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বিরামপুর পৌর শহরের থানাপাড়া মহল্লার নজরুল ইস𓆏লামের ছেলে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ছয় বছর আগে আবদুল্লাহ আল এলিনের সঙ্গে বাবলী খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের একটি ছেলেসন্তান হয়। সংসার চলাকালে বাবলী জানতে পারেন, তার স্বামী তাকে বিয়ের আগে অন্যত্র একটি বিয়ে করেছিলেন, সেখানে স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়েছে এবং সেই পক্ষের ঘরে একটি ছেলেও আছে। বাবলীর অভিযোগ, আবদুল্লাহ বিভিন্ন সময় তাকে বাবার বাড়ি থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আনতে চাপ দিতেন। এ নিয়ে প্রায় সময় তাদের কথা–কাটাকাটি হতো এবং আবদুল্লাহ বাবলীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। একপর্যায়ে বাবলী নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়িতে চলে যান। পরবর্তী সময়ে বাবলীর স্বামী শ্বশুরবাড়ির এলাকায় জমি কিনে বাড়ি বানিয়ে বাবলীকে নিয়ে বসবাস করেন। কিছুদিন পর আবার বাবলীকে বাবার বাড়ি থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আনতে চাপ দেন আবদুল্লাহ। বাবল🌌ী রাজি না হওয়ায় তাকে 🦹শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। গত নভেম্বর মাসে বাবলী স্বামীর সংসার ছেড়ে ছেলে রাফিনকে (৫) নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান।

এজাহারꦡে উল্লেখ করা হয়, ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আবদুল্লাহ দুই বন্ধু সাজু মিয়া (৩০) ও অপু মিয়াকে (৩০) নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ির সামনে যা🔴ন। তারা বাড়ির বাইরে থাকা ছেলেকে সবার অগোচরে অপহরণ করেন এবং বিরামপুর পৌর শহরের থানাপাড়া মহল্লায় তার (রাফিন) দাদার বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। ছেলেকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে বাবলী স্বামীর কাছে ছেলের বিষয়ে একাধিকবার জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। পরে গতকাল সকাল ১০টায় বাবলী ঘোড়াঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে পুলিশের একটি দল বিরামপুর থানা–পুলিশের সহযোগিতায় রাফিনের দাদাবাড়ি থেকে রাফিনকে উদ্ধার করে এবং আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মꦐকর্তা (ওসি) নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, শিশু অপহরণের অভিযোগে শিশুর বাবা আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামি তার স্ত্রী, শ্বাশুড়ি ও শ্যালিকাকে হয়রানি করতেই আসামি ছেলেকে অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন। আজ দুপুরে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শ💛িশুটিকে তার মায়ের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। মামলার বাকি চার আসামি পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!