হেডলাইন পড়ে অবাক হয়েছ𒆙েন? উদ্ভট মনে হচ্ছে। হতেই পারে𓄧, কারণ, পেলে ও দিয়েগো ম্যারাডোনা তো একসাথে কখনো পেশাদার ফুটবলই খেলেননি। কিন্তু এখানে তো আর পৃথিবীর ম্যাচ নিয়ে বলছি না। বলবোই কিভাবে? কেউই তো এখন পৃথিবীতে নেই।
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর স্বর্গলোকে পাড়ি জমান ম্যারাডোনা। তখন ফুটবল ঈশ্বরের মৃত্যুতে পেলে বলেছিলেন, ‘আশা করি একদিন তোমার (ম্যা🌳রাডোনা) সঙ্গে আকাশে ফুটবল খেলবো।’
পেলের আশা হয়তো এতক্ষণে পূরণ হয়ে গেছে🐽। স্বর্গলোকে এতক্ষণ💛ে ফুটবলের রাজাকে স্বাগত জানিয়েছেন ম্যারাডোনা। ইতিমধ্যে হয়তো একটি ফুটবল ম্যাচও মাঠে গড়িয়েছে।
যেখানে ম্যারাডোনা মাঝ মাঠের নীচ থেকে প্রতিপক্ষের একের পর এক ফুটবলারকে ড্রিবলিং করে ডি বক্সের সামনে গিয়ে বল দিয়েছেন পেলেকে। ম্যারাডোনার কাছ থেকে বল পেয়ে প্রত♐িমাতে তুলির শেষ আঁচর দিয়ে উঠে গেছেন ম্যারাডোনার কোলে।
ফুটবল ঈশ্বরের কোলে ফুটবলের রাজা! কি অদ্ভুত সুন্দর, কি মহাজাগতিক দৃশ্য, অথচ আমি, আপনি কেউই সেটা স্বচোখে দেখতে পারবো না, কল্পনাই এখানে একমাত্র ভরসা। অবশ্য এসব ঐশ্বরিক দৃশ্য কল্পনা করলেও কখন যে রাতের অন্ধকার শেষে সূর্যের আ꧙লো উঁকি দিবে সেটা টেরও পাওয়া যাবে না।
ফুটবল ইতিহাসের দুই 🅷স্𝓰বর্গ দূত, অথচ তাদের একসাথে খেলতে দেখার সৌভাগ্যই হলো না এই পৃথিবীর বাসিন্দাদের। দু’জনকে খেলতে দেখেছেন সেরকম লোকের সংখ্যাও হয়তো দুর্বিন দিয়ে খুঁজলে হাতে গোনা কয়েকজন পাওয়া যেতে পারে আবার নাও পারে।
১৯৭১ সালে সর্বশেষ বুটজোড়া তুলে রেখেছিলেন পেলে। তারও ছয় ব🍰ছর পর ১৯৭৬ সালে সিনিয়র ক্যারিয়ার শুরু হয় ম্যারাডোনার আর ১৯৭৭ সালে আর্জেন্টিনার জার্সিতে।
অথচ ফুটবল ইতিহাস ঘাটলে, দু’জনের নামꦍ একসাথে আলোচনায় উঠে আসতে বাধ্য। ফুটবল পায়ে পেলে বন্ধ করেছেন যুদ্ধ, ইতালির নাপোলতে ম্যারাডোনা বসেছেন স্বয়ং ঈশ্বরের আসনে।
আপনি এমন একটা পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছেন, যেখানে ফুটবল পায়ে মহামানব বনে গেছেন পেলে ও ম্যারাডোনা নামের দুই ভদ্রলোক। অবশ্য এ💝খন আ✱পনারা যে পৃথিবীতে আছেন, সেখানে এই দুই ভদ্রলোকের কারোরই আর অস্তিত্ব নেই।
নাহ, এটা বড়সড় ভূয়া কথা হয়ে যাচ্ছে। ব্রাজিলের পেলে ও আর্জেন্টিনার ম্যারাডোনার অসস্তিত্ব কি আদৌ কখনো এই বসুন্ধরা থেকে মুছে যাওয়া সম্♏ভব? চোখ বুঝে বলে দেওয়া সম্𝄹ভব, এটা কখনোই সম্ভব না।