এর আগের এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারত꧅ সেদেশে না যাওয়ায় সেটা হাইব্রিড মডেলে হয়েছিল। ভারতের ম্যাচগুলো হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় ভারত। কোনও মতেই পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাবেন না রোহিত শর্মারা। অন্য দিকে পাকিস্তানও অনড়। তারা নিজেদের দেশেই প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে চায়।
এই পরিস্থিতিতে আবার জল্পনা শুরু হয়েছে যে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তান থেকে সরতে পারে। বিকল্প হিসাবে তিনটি দেশের নাম উঠে এসেছে। সেই জল💜্পনা নিয়ে কী বলছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড?
ভারতকে তাদের দেশে খেলতে যাওয়ার আমন্ত্রণ করেছে পাকিস্তান। তারা জানিয়েছে, নিরাপত্তার কোনও সমস্যা হবে না। ভারত একটি মাঠেই খেলবে। ভারত অবশ্য সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তার পর আলোচনা হয়েছে হাইব্রিড মডেল নিয়েও। অর্থাৎ, ভারত তাদের সব ম্যাচ অন্য দেশে খেলবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও একটা সমস্যাꦰ রয়েছে। যদি ভারত ফাইনালে ওঠে তা হলে সেই ফাইনালও হবে অন্য দেশে। এই পরিস্থিত🍬িতে তৃতীয় একটি বিকল্প সামনে এসেছে।
জানা গিয়েছে, আইসিসি তিনটি দেশের কথা ভাবছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আরব আমিরাত। পাকিস্তান থেকে পুরো প্রতিযোগিতা সেখানে সরিয়ে নেওয়া 🐭হতে পারে। আইসিসি নাকি তিনটি বিষয়কে মাথায় রেখেই প্রতিযোগিতার বাজেট তৈরি করেছে। প্রথম বিকল্প, সব ম্যাচ পাকিস্তানে করা। দ্বিতীয়, হাইব্রিড মডেলে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। তৃতীয়, সব ম্যাচ𒅌 অন্য দেশে করা। অন্য দেশে প্রতিযোগিতা হলেও অবশ্য আয়োজক দেশ হিসাবে লাভের অংশ পাকিস্তান পাবে।
এই জল্পনা অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তাদের এক কর্তা বলেন, ‘এই জল্পনায় কোনও সত🐻্যতা নেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল বা গোটা প্রতিযোগিতা কোনও ভাবেই সরবে না। আমাদের কাজ পুরো দমে চলছে। পুরো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানেই হবে। আমরা দুর্দান্ত একটা প্রতিযোগিতা আয়োজন করব।’
তবে এখনও সময় রয়েছে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হওয়ার কথা। তাই এখনই আইসিসি এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, নভেম্বরের শেষে বা ডিসেম্বরের শুরুতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ১ ডিসেম্বর থেকে আইসিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেবেন জয় শাহ। তাই বাই🧔রে আত্মবিশ্বাস দেখালেও ভিতরে ভিতরে কিছুটা হলেও চাপে রয়েছে পাকিস্তান।