১৯৮৪ সালে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ভারতীয় টেস্ট দলে খেলার সুযোগ পেয়েই বিশ্বরেকর্ড গড়েন মুহম্মাদ আজহারউদ্দিন। টানা তিন টেস্টে করেন সেঞ্চুরি। যেই বিশ্ব রেকর্ড আজও💦 অক্ষত। তাছাড়া, আজহার একমাত্র ভারতীয় এবং বিশ্বের পঞ্চম খেলোয়াড়, যিনি ক্যারিয়ারের প্রথম ও শেষ টেস্টে সেঞ্চুরি করেন।
২০০০ সালে অবসর গ্রহণের পর আজহার কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে যান লোকসভা নির্বাচ🐓নে সদস্য পদেও জয়লাভ করে🌜ন।
সেই আজহারকে এবার আইনি নোটিশ পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থায় (এইচসিএ) আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ভারতে🧜র সাবেক অধিনাꦯয়কের বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেই তাকে নোটিশ পাঠিয়েছে ইডি। হায়দরাবাদের ইডি দফতরে তাকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অতীতে এই🦄চসিএ-র সভাপতি ছিলেন আজহার। সেই সময়ে তিনি সংস্থার তহবিলের রুপি নয়ছয় করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই প্রথম বার♕ তাকে নোটিশ পাঠাল ইডি।
প্রায় ২০ কোটি রুপি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে আজহারের বিরুদ্ধে। ডিজলে জ🍃েনারেটর, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র কেনা এবং উপ্🅠পলের রাজীব গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ক্যানোপি কেনার জন্য ওই অর্থ বরাদ্দ ছিল।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতির পদ থেকে আজহারকে সরিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওকে সংস্থার কাজকর্ম ✅দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ক্রিকেট সংস্থার মধ্যে যে দুর্নীতি এবং নির্বাচন নিয়ে সমস্যা চলছিল তা ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রাওকে। সভাপতি হিসাবে আজহারের বিতর♏্কিত অধ্যায়ের শেষ হয়েছিল সেখানেই।
তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম বার লড়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্বাচনে কংগ্রেস জিতলেও তিনি বাজিমাত করতে পারেননি। তার উপর অনেক আস্থা, আশা-ভরসা রেখেছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু রাজনীতির উইকেটে ব্যর্থই হন ভারতীয় ক্রিক♉েট ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা আজহার।
পর পর দু’টি লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন আজহার। প্রথম বার ২০০৯ সালে উত্তরপ্রদেশের মোর💛াদাবাদ আসনে। দ্বিতীয় বার ২০১৪ সালে রাজস্থানের টঙ্ক-সওয়াই মাধোপুর আসনে। মোরাদাবাদে বাজিমাত করতে পারলেও টঙ্কে হারের মুখ দেখতে🎐 হয়েছিল আজহারকে। তার পরে ২০১৮ সালে তেলঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় আজহারকে।