মো. শামসু ব্যাপারী। বাড়ী মানিকগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায়। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভ♐র্তি হন তিনি। ভর্তি হওয়ার পরে তিন দিনেও কোনো উন্নতি না হওয়ায় চলে আসেন ডিএনসিসির ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালে।
ডিএ🉐নসিসির ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসায় এখন অনেকটা সুস্থ বোধ করছেন তিনি। মানিকগঞ্জে থাকাকালীন যেখান তার প্লাটিলেট ছিলো ২৫ হাজার। এখন তার প্লাটিলেট প্রায় ৮০ হাজার।
মো. শামসু ব্যাপারী বলেন, “আ🤪মাদের মানিকগঞ্জের শত শত লোক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমাদের এলাকার নদী ডোবা ও পুকুরে প্রচুর কচুরিপানা হয়। আর সেখান থেকেই মশার উৎপত্তি হয়।”
বাইপাল থেকে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ডিএনসিসির হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোতালেব 🥂হোসেন। তিনি জানান, তার বাড়ির আশেপাশে প্রচুর ম⛎শা। সাভার বাইপাইল এলাকার মানুষ মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ।
শামসু বﷺ্যাপারী ও মোতালেব হোসেনের মতো লাবনী আকতার, শিশু আবু তাসিন, ইব্রাহিম তাদেরও একই অবস্থা। তারাও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ডিএনসিসির ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালে। তাদেরও অভিযোগ, এডিস মশা নিধনে কোনো পদক্ষেপ নেয় না কর্তৃপক্ষ। তাই ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে প্রতিদিন।
এমন অবস্থায় ডিএনসিসির ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালটিতে ঢাকার চেয়ে ঢাকার বাইরের রোগী বেশী। রোগীদের সাথে কথা বললে তারা সবাই বলছেন, ডিএনসিসির ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালের চিকিৎসার মান খুবই ভালো। সঠিক চিকিৎসা পেয়ে অনেকেই 𒉰সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
ডেঙ্গু কেন বাড়ছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেꦫজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ আসাদুল কবির বলেন, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। এর মূল কারণ হলো থেমে থেমে বৃষ্টিপাত। থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ময়লা পানি আর পরিষ্কার পানি এক হয়ে যায়। এতে করে ডেঙ্গুর বিস্তার বেড়ে যায়। আর এই জমে থাকা পানি তিন দিনের বেশি হয়ে গেলে এডিস মশার লার্ভাগুলো অ্যাডাল্ট হয়ে যায়। তখন সেগুলো আরও বংশবিস্তার করে।