ডিজিটাল যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জীবনের অন্যতম অংশ হয়ে উঠেছে। কোনো বিশেষ মুহূর্ত কিংবা প্রতিদিনের জীবনকাহিণি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা যেন রীতিমতো ট্রেন্ড। সেই ট্রেন্ডে꧃ গা ভাসিয়ে দিচ্ছে সব বয়সী মানুষ। এমনকি সংসারের খুটিনাটিও এখন সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে সবার সামনে তুলে ধরছে। যার কারণে ব্যক্তিগত বিষয় আর গোপন থাকছে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি সাধারণ সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। সংসারের কোন্দলও বাড়ছে। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জীবনসর্বস্ব হয়ে ওঠায় ব্যক্তিগত ও সাংসারিক জীবনে ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে।
সব কিছুরই ভালো বা খারাপ দুটো দিকই রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোন কিছু শেয়ার করাটা খারাপ নয়। তবে এর উপর বেশি নির্ভরশীল হওয়ার প্রভাব নেতিবাচক হতে পারে♓। চলুন জেনে আসি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কী প্রকাশ করা যাবে, আর কী প্রকাশ করা যা✨বে না।
· সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উপর বেশি আকৃষ্ট হলে প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্কে মধুর মুহূর্তগুলো কেড়ে নিতে পারে। প্রিয়জন থেকে পাওয়া উপহারের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আꦐপলোড করতেই ব্যস্ত থাকছেন। কিন্তু সঙ্গীর ভালোবাসার প্রকাশকে এড়িয়ে গেলেন। এটি সুন্দর মুহূর্তকে নষ্ট করে দিচ্ছে।
· সা🎐মাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে। এতে প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর ছবি পোস্ট করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। এতে বিশেষ অনুভূতিগুলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে। সম্পর্কে দূরত্বও বাড়ছে।
·&nꦦbsp; সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা কোনো বিষয় আপনার কাছে খুব স্বাভাবিক হতে পারে। কিন্তু অন্যের কাছ🅷ে তা নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি করতে পারে। যা থেকে হিংসা, বিদ্বেষ বাড়তে পারে। আবার অনেকে আপনার দোষ ধরবে। তাই যেকোনো বিষয় পোস্ট করার আগে দ্বিতীয়বার ভেবে দেখুন।
· আপনার আনন্দের মুহূর্তগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করলে তা অনেকের চোখের দৃষ্টিকটু হতে পারে💦। কারণ আপনার বন্ধু তালিকার অনেকে জীবনে ট্র্যাজেডি থাকতে পারে। তারা হয়তো আপনার আনন্দের মুহূর্তগুলো দেখে ভালো অনুভব নাও করতে পারে। তাই সব আনন্দ শেয়ার না করাই ভালো।
· অনেকে সাংসারিক কলহ নিয়ে পোস্ট দ𓄧িচ্ছেন। যা দেখে অন্যরা হাসাহাসি করতে পারে। অনেকে তো স্ক্রিনশট নিয়ে অন্য কারো সঙ্গে শেয়ারও করে। আপনার অগোচরে তারা খুশি হচ্ছে বা মজা নিচ্ছে।
· নিজের মনের কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ না করে, প্রিয়জনের কাছে বলুন। নয়তো আপনার সম্পর্কে অন্যরা যেকোনো কিছু ধারণা করে নেবে। আবার সঙ্গীর বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক কথা লেখাও উচিত নয়। এতে অন্যরা আ😼পনার সঙ্গীকে আর সম্মান করবে না। তাই সংসারের ভালো মন্দ যেকোনো কিছুই দুইজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখুন।