গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ না হলেও ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে এরই মধ্যে ছিটকে গেছে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। দল দুটি গ্রুপ পর্বে দুটি করে ম্যাচ হেরে সুপার এইটের রেস থেকে বাদ পড়েছে। তবে উভয় দলের জন্য একটি সুখবর সামনে এসেছে।
সুখবরটি অবশ্য পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সঙ্গে সম্পর্কিত। এবারের বিশ্বমঞ্চ থেকে শুরুতেই বিদায় নিলেও, ২০২৬ সালে শ্রীলঙ্কা ও ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই মেগা ইভেন্টের জন্য যোগ্যতা অর্জনের পথ তৈরি করেছে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড।
এমনকি যদি দল দুটি এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে তাদের শেষ ম্যাচে হারে, তবুও উভয় দলই ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করবে।
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতার নিয়ম অনুযায়ী, চলতি বিশ্বকাপের ২০টি দলের মধ্যে শীর্ষ ১২টি দল সরাসরি পরবর্তী টুর্নামেন্টের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে। ভারত ও শ্রীলঙ্কা স্বাগতিক হিসেবে তালিকার প্রথম দুটি দল হবে। যারা এবারের আসরে সুপার এইটে জায়গা করে নেওয়া বাকি দলগুলোর সঙ্গে পরের আসরে সরাসরি অংশ নেবে।
ভারত অবশ্য ইতোমধ্যেই চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ-গ্রুপ থেকে সুপার এইটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। যদিও শ্রীলঙ্কা সেটা পারেনি। এ ক্ষেত্রে ভারত দুটি মানদণ্ডেই যোগ্যতাসম্পন্ন করেছে। এবারের বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ জিতলে পাকিস্তানও থাকতে পারে শীর্ষ ১২-তে।
অন্য দলগুলোর মধ্যে যারা এবারের আসরে সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছে এবং ২০২৬ বিশ্বকাপে সরাসরি সুযোগ পেয়েছে, তারা হলো দক্ষিণ আফ্রিকা (গ্রুপ ডি), ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তান (গ্রুপ সি), অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড (গ্রুপ বি) এবং ইউএসএ (গ্রুপ এ)।
পাকিস্তান বর্তমানে ২৪১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টি টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে। যেখানে নিউজিল্যান্ড ২৪৭ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। এই দুই দল ৯ থেকে ২৩তম অবস্থান পর্যন্ত সব দলের চেয়ে এগিয়ে আছে।
এইভাবে, তারা র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনে𒆙র সুযোগ পাবে। বর্তমানে বাংলাদেশ ২২৬ পয়েন্ট নিয়ে নবম, আয়ারল্যান্ড ১৯৫ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে, স্কটল্যান্ড (১৯২ পয়েন্ট) ১২ নম্বর স্থানে, জিম্বাবুয়ে (১৯২ পয়েন্ট) ১৩ নম্বরে এবং নামিবিয়া (১৮৯ পয়েন্ট) ১৪ নম্বর স্থানে রয়েছে।