ফিলিস্তিনে চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। এমন অবস্থায় শুক্রবার রাতে উয়েফা নেশনস লিগ ফুটবলের এক ম্যাচে মুখোমুখি হয় ফ্রဣান্স ও ইসরায়েল। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ফ্রান্সেই। সেখানেই নতুন করে ডানা বাঁধল বিতর্ক।
আমরা সকলেই জানি, গাজায় হামাস আর ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে বহু সংখ্যক ফিলিসܫ্তিনী। ফলে অনেক ইউরোপীয় দেশের জনগণও এই ঘটনায় ইসরায়েলের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিচ্ছে। এদিনের ম্য🐈াচে সেরকম অনেক কিছুই ঘটলো।
জানা গেছে, ইসরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন ফ্রান্সের নাগরিকরা ম🍒ুখ দিয়ে তীব্র আওয়াজ করে প্রতিবাদ জানায়। শুধু তাই নয়, একটা সময় দর্শক আসনে ইসরায়েলের সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তারা। ঝামেলা হতে পারে এরকম আশঙ্কা আগেই ছিল। সেই কারণে ম্যাচকে কেন্দ্র করে মোতায়েন করা হয়েছিল প্রায় ৪ হাজার পুলিশ। তবুও এড়ানো গেল না গণ্ডগোল।
রাজধানী প্যারিসের স্টেড ডে ফ্রান্স স্টেডিয়ামে এদিনের ম্যাচে ১৬, ৬১১ জন দর্শক উপস্থিত হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে এই স্টেডিয়াম ꦬনির্মাণ হওয়ার পর থেকে যা সর্বনিম্ন। যেহেতু আগে থেকে গণ্ডগোলের আশঙ্কা ছিল তাই অনেক সমর্থক মাঠে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ইসরায়েল সরকারের তরফেও তাদের দেশের সমর্থকদের ভ্রমণ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। তবে কিছু ইসরায়েলি সমর্থক তা অমান্য করে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়।
উত্তেজনা ছড়ায় ম্যাচ শুরুর আগেই। স্টেডিয়ামের বাইরে কিছꦗু ফিলিস্তিনপন্থী জনগণ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। শুধু তাই নয়, এই ম্যাচ বাতিল করার দাবিও জানানো হয়। জানা যায়, ইসরায়েল বিরোধীদের হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা ছিল এবং ব্যানার ছিল, যাতে লেখা ছিল ‘আমꦡরা গণহত্যাকারীদের বিরুদ্ধে খেলি না।’
মাঠের বাইরে উত্তেজনা থাকলেও ম্যা⛦চে কিন্তু এর কোনো প্রভাব পড়েনি🦩। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে খেলার ফলাফল ছিল গোলশুন্য। এদিনের ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এমানুয়েল মাক্রোঁ।
মꩲ্যাচের আগে এক টিভিতে তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্রান্সসহ কোথাও ইহুদি বিরোধিতা করব না এবং তাদের ওপর কোনও সহি𓆉ংসতা মেনে নেওয়া হবে না।’
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই নেদারল্যান্ডসেও অনেকটা একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। যেখান𓄧ে ইউরোপা লিগে মাক্কাবি তেল আবিব এবং আয়াক্স আমস্টারডামের ম্যাচ শেষে স্টেডিয়ামের বাইরে আক্রান্ত হতে হয়েছিল তেল আবিব সমর্থকদের।