ইতিহাসটা নিজেদের ঠিকই করে নিয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে অধরা টেস্ট জয় শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ পেয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে পঞ্চম দিনে সাকিব আল হাসান এবং মেহেদি মিরাজের স্পিন ঘূর্ণিতে টাইগারর🐟া পেয়েছে ১০ উইকেটের জয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম আর দেশের বাইরে বাংলাদেশের সপ্তম টেস্ট জয়ে বেশ কিছু রেকর্ড হয়েছে বাংলাদেশের।
যত দলীয় রেকর্ড: উইকেটের বিচারে সবচেয়ে বড় জয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছে ১০ উইকেটে। এরআগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মাঙ্গানুই টেস্টে ৮ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহটাও এই টেস্টেই পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের ১৯১ সঙ্গে আরও ৪⭕ ফিফটির সুবাদে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৬৫ রান। এরচেয়ে বেশি রান বাংলাদেশ পেয়েছে দুবার। ২০১৩ সালে গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৩৮ রান আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৯৫ রান। বাংলাদেশ টেস্টে সপ্তম উইকেট বা তার নিচে বড় পার্টনারশিপটাও দেখেছে রাওয়ালপিন্ডিতে। মিরাজ এবং মুশফিক করেছেন ১৯৬ রানের জুটি। এটি আবার পাকিস্তানের মাটিতে সপ্তম উইকেট বা এর নিচে তৃতীয় সর্ไবোচ্চ। সবার ওপরে ওয়াসিম আকরাম ও সাকলাঈন মুশতাকের ৩১৩ রানের জুটি।
মুশফিকের রেকর্ড: দেশের বাইরে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ মুশফিকের। সর্বোচ্চ ২১৭ রান সাকিবের নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। গলে মুশফিক করেছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি। রাওয়ালপিন্ডিতে করলেন ১৯১ রান। ইনিংসটি পাকিস্তানের মাঠে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ড আগেই ছিল মুশফিকের নামের পাশে। ৩৫ বছর ৩৩০ দিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির দিনে তার বয়স ছিল ৩৭ বছর ১০৪ দিন। বাংলাদেশের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি টেস্ট ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ (৭) এবং দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি (৫) দুই রেকর্ডই🦩 এবার করলেন মুশফিক।
সাকিবের বিশ্বরেকর্ড: আন্তর্জাতিক ক্রি꧅কেট ইতিহাসে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট এখন সাকিবের। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে নেন ৪ উইকেট। তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেট ৭০৭টি। সাকিব পেছনে ফেলেছেন নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে। ৩০৫ ওয়ানডে, ৩৬২ টে𓂃স্ট আর ৩৮ টি-টোয়েন্টি উইকেট মিলিয়ে ৭০৫ উইকেট ছিল ভেট্টোরির। ২৪১ টেস্ট, ৩১৭ ওয়ানডে আর ১৪৯টি টি-টোয়েন্টি উইকেট এখন সাকিবের নামের পাশে।
