ক্রিকেটের মাঠে ম্যাচ পরিচালনার মূল দায়িত্বটা থাকে মাঠের আম্পয়ারের কাঁধে। টুর্নামেন্টগুলোতে সাধারণত ম্যাচ পরিচালনা করেন ভিনদেশীয় আম্পায়ার। কিন্তু কোভিডের কারণে তা আর সম্ভব হচ্ছে না। তাই মাঠে দেশীয় আম্পায়ারের দিয়ে খেলা পরিচালিত হচ্ছে। আর তুলনামূলক কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আম্পায়ার থাকার কারণে তাদের ভুলের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে বেশীর ভাগ সিদ্ধান্তের জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে টিভি আম্পায়ারদের ওপর। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে নেওয়া হচ্ছে টিভি আম্পায়ারের সাহায্য। ফলে প্রশ্ন উঠেছে মাঠে আম্পায়ারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে!
কোভিড পরবর্তী সময়ে মাঠে আম্পায়ারদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুগতে দেখা গেছে। মাঠে সঠিক সঠিক সিদ্ধান্ত না পেয়ে বেশীরভাগ অধিনায়ককেই দেখা গেছে প্রযুক্তির সহায়তা নিতে। গত দুই বছর꧒েই এমনটা বেশী দেখা গেছে।
২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আম্পায়ারদের বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি খেলোয়াড়েরা। সর্বশেষ ৪১𒈔 টেস্টে দেখা যায় দেশীয় বোলাররা সবচেয়ে বেশী থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চেয়েছেন। ১৬৮ টি রিভিওয়ের মধ্যে দেখা যায়, ৬৪% সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়েছে আম্পায়ারকে। আর ১৭% আম্পায়ারস কলের কারণে বেঁচে গেছেন ব্যাটার, বাকি ১৮% সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে।
গত এক বছরে সফরকারী বোলাররা ১৫৬টি রিভিও নি🅺য়েছেন। যার মধ্যে 🎶আম্পায়ারদের ৯৭টি অর্থাৎ ৬২% সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়েছে। ২২% সিদ্ধান্ত আম্পায়ারস কলের কারণে বাদ পড়েছে আর ১৬% সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে।
এছাড়া সফরকারী ব্যাটাররা ১৪৭ বার রিভিও নিয়েছেন। যার মধ্যে ৩৯% সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন আম্পায়াররা। ১৭% সিদ্ধান্ত হয়েছে আম্পায়ারস কলের কারণে আর বাকি ৪৪% সিদ্ধান্ত🍸ই বাতিল হয়েছে।
দেশীয় ব্যাটাররাও ৯৬ বার রিভিও নিয়েছেন। যার মধ্যে ৪০% সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন আম্পায়াররা। আর ২৬% হয়𝔉েছে আম্পায়ারস কল ও ৩৪% সিদ্ধান্ত বাতཧিল হয়েছে।
ফলে মাঠে আম্পায়ারদের নিরপেক্ষতা খুব কমই দেখা গেছে। পরিসংখ্যান অবশ্য এমন কথাই বলছে। যদি বেশীরভাগ সিদ্ধান্তই পরিবর্তন করতে হয় আম্পায়ারদের। তাহলে মাঠে আম্পায়ারদের কার্🍸যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠাটাই স্বাভাবিক।