কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংস ঘটনার জের ধরে বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের ইন্টারনেট সেবা। এ🃏ক সপ্তাহের বেশি বন্ধ থাকার পর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট দুদিন ধরে সীমিতভাবে চালু হয়েছেꦡ। তবে এখনও বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা। এই সেবা কবে চালু হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
এর মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা সচল করতღে ডেটা কেনার জন্য তারা যে টাকা খরচ করেছিলেন তা কি ফেরত দেবে মোবাইল কো🌠ম্পানিগুলো? নাকি তাদের অব্যবহৃত ডেটা ফেরত দেওয়া হবে?
অনেকেরই প্রশ্ন, নতুন প্যাকেজ না কিনলেও পাওনা ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার করতে দেবে কি টেলিকম ꧙কোম্পানিগুলো? নাকি শেষ অবধি সব টাকাই পানিতে🎀 যাবে?
এসব প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট কোনো ইতিবাচক উত্তর মিলছে না। বেসরকারি চাকরিজীবী সোহান আহমেদ♚ের অভিযোগ, জরুরি যোগাযোগের জন্য গত ১৮ জুলাই তিনি ডেটা প্যাকেজ কেনেন। অথচ আগের রাত থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মোবাইল ডেটা। ফলে তিনি তার টাকায় কেনা ডেটা আর ব্যবহার করতে পারেননি। গত ২৪ জুলাই প্যাকেজটির মেয়াদ শে🅺ষ হয়ে গেছে।
আরেকজন গ্রাহক নওশীন তাবাসসুম বললেন, গত ১৭ জুলাই মোবাইল ডেটা কেনার পর রাত থেকেই আর ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে 🍌যায়। আর ব্যবহার করতে পারিনি। এখন প্যাকেজের টাকা ফেরত পাব কিনা।
সূত্রমতে, গেল বছর মোবাইল ব্যবহারকারীরা গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২৯ কোটি ꩵটাকার মোবাইল ডেটা কিনেছেন। এতে দেশের মোবাইল কোম্পানিগুলোর আয় বছরে ১০ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, সাধারণত একটি প্যাকেজ শেষ হওয়ার আগেই ঐ প্যাকেজটি আবার কিনলে অব্যবহৃত ডেটা সমন্বয় করা হয়। এখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই সুযোগ নেই। তাহলে কꩲী হবে?
তবে মোবাইল কোম্পানিগুলো কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে। জানতে চাইলে গ্রামীণ ফোন, রবি এবং বা💦ংলালিংক জানিয়েছে, তারা গ্রাহকের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই সিদ্ধান্ত নেবে। এজন্য তারা মোবাইল ইন্টারনেট চ♕ালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
মূলত, গত ২৩ জুলাই রাত থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও মোবাইল ইন্টারনেট এখনো চালু হয়নি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে রোববার বা সোমবার নাগাদ মোবাইল ইন্টারনেট চালু হতে পারে।