আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্কের ꦉ‘আরেক নাম’ যেন তসলিমা নাসরিন। দীর্ঘ দুই দশক ধরে ভারতে নির্বাসিত এ লেখিকাকে ফের ‘মৃত’ দেখাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। অর্থাৎ তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টটি ‘রিমেম্বারিং’ করে দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তার প্রোফাইলে ঢুকলেই লেখা আসছে ‘রিমেম্বারিং তসলিমা নাসরিন’। যা শুধুমাত্র মৃত ব্যক্তিদের ব্যাপারে লেখা হয়।
সোমবার (꧃২১ অক্টোবর) তসলিমা নাসরিনের অ্যাকাউন্টে গিয়ে এ তথ্য লক্ষ্য করা গেছে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তসলিম🐠া নাসরিনের প্রোফাইলে লিখেছে, “আমরা আশা করি যারা তসলিমা নাসরিনকে ভালোবাসেন, তারা তাকে স্মরণ ও সম্মানিত করার জন্য তার প্রোফাইল পরিদর্শন করে সান্ত্বনা খুঁজে পাবেন।”
সাধারণত কেউ মারা গেলে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রিমেম্বারিং করতে হলে একটি ফরম পূরণ করে ফেসবুকের কাছে আবেদন করতে হয়। ওই আবেদন যাচাই করে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে তসলিমা নাসরিনের ক্ষেত্রে কী ঘটেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ সোমবার (২১ অক্টোবর) তার অফিসিয়াল এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টটি অ্যাকটিভ রয়েছে। রাত ৯টা𓄧র দিকেও সেই অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে।
তসলিমা তার এক্স হ্যান্ডেলে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ🦂কে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, “প্রিয় অমিত শাহজি, নমস্কার। আমি ভারতে থাকি, কারণ আমি এই মহান দেশকে ভালোবাসি। গত ২০ বছর ধরে ভারত আমার দ্বিতীয় বাড়ি। কিন্তু গত ২২ জুলাই থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমার রেসিডেন্ট পারমিট নবায়ন করছে না। এ নিয়ে আমি খুব চিন্তিত। আমি কৃতজ্ঞ থাকব যদি আপনি আমাকে থাকতে দেন। উষ্ণ🐎 অভ্যর্থনা।”
এর আগেও ২০২২ সাল💮ে ফেসবুক তসলিমা নাসরিনের অ্যাকাউন্ট রিমেম্বারিং করেছিল। এক্স এ পোস্ট করে তাকে জানাতে হয়েছিল যে তিনি জীবিত আছেন। তবে এবার এখনো তেমন কোনো বার্তা দেননি এই লেখিকা।
১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে চল🌌ে যেতে বাধ্য হন তসলিমা নাসরিন। তꦍার আত্মজীবনীমূলক বই ‘দ্বিখণ্ডিত’ নিষিদ্ধ হওয়ার পর হুমকির মুখে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। সে সময় তার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হয়।
এরপর কয়েক বছর ইউরোপে থাকার পর ভারতেই বসবাস 💦শুরু করেন তিনি। ২০০৪-২০০৭ সাল পর্যন্ত🧔 কলকাতাতেই থাকতেন। ২০১১ সাল থেকে জয়পুরেই থাকতেন তসলিমা। পরে দিল্লির বাসিন্দা হন। পেয়েছিলেন দীর্ঘকালীন রেসিডেন্স পারমিট। প্রতিবছর যা নবায়ন হয়ে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি তা না হওয়ায় আশঙ্কিত তিনি।