বান্দরবানের থানচিতে বুধবার (৩ এপ্রিল) সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়েছে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যরা। এ সময় তারা সোনꦓালী ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার থেকে ১৫ লাখ টাকা এবং কৃষি ব্যাংক থেকে ৭ লাখ টাকা লুট করে। তবে তারা কোনো ব্যাংকের ভল্ট খুলতে বা ভাঙতে পারেনি। থানচি থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফকে ব🍬িচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হিসেবে বর্ণনা করলেও সংগঠনটি তাদের ফেসবুক পাতায় দাবি করেছে তারা বাংলাদেশের কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন নয়।
র্ꦡযাবের অভিযোগ, কিছু তরুণকে সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ে প্রশিক্ষণ ও রসদ জোগাচ্ছে এই ꦇকেএনএফ।
কেএনএফ কারা, কী চায় তারা
কেএনএফের ঘোষণা ও বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে পাঠানো বক্তব্য অনুযায়ী, বান্দরবান ও রাঙামাটির অন্তত ছয়টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব কꦰরছে তারা। যদিও দলবদ্ধভাবে তাদের বম হিসেবেও প্রচার করছে অনেকে।
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বা𝔍ন্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম উপজেলাগুলোর সমন্বয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি করে কেএনএফ। তখনই তাদের সাংগঠনিক প্রধান হিসেবে নাথান বমের নাম ঘোষণা করে তারা।
বম একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক♏্ষার্থী ছিলেন এবং বান্দরবানের রুমা উপজেলায় ꦦতার বাড়ি বলে জানা যাচ্ছে।
জানা যায়, একসময় তিনি নিজের সম্প্রদায়ের মানুষদের উন্নয়নে কাজ শুরু করলেও গত কয়েক বছর🅘 ধরে তাকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি।
তবে ফেসবুকে ও ইউটিউব পোস্টে কেএনএফ তাদের সামরিক প্𒁏রশিক্ষণ ছাড়াও শুরু থেকেই সরকার ও জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়ে আসছিল।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বা জেএসএসের প্রচার বিভাগের সদস্য দিপায়ন খীসা বলছেন, পাহাড়ের একটি বিশেষ প্রভাবশালী মহল এই কেএনএফকে আশ্রয় ও প্রশ্রয়♉ দিয়েছে। কথিত কেএনএফ ফেসবুক পেজে ঘোষণা দিয়ে তাদের সশস্ত্র কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
তাদের ফেসবু♛ক পাতায় সামরিক পোশাক পরিহিত নারী পুরুষের ছবি ছাড়াও ট্রেনিং করার কিছু চিত্র দেওয়া হয়েছে।
যদিও এসব ভিডিও বা ছবি তাদের নয় বলেই🍷ꦅ মনে করছে র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।