নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম (৬২) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন রুমা আক্তার (২৮) ও তার সহযোগী বা𒁃ন্ধবী রোকসানা ওরফে রুকু (২৬)। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হায়দার আলীর আদালতে দুইজনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) কাইউম খান। আসামি রুমা আক্তার ময়মনসিংহের গৌরিপুর থানার তাতরাক☂ান্দা গ্রামের নজর আলীর মেয়ে। তার বান্ধবী রোকসানা রুকু ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানার কানিকশালগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল হকের মেয়ে। তারা শেওড়াপাড়ার ডা. হাবিবুল্লাহর বাড়িಞর ভাড়াটিয়া।
🌸জবানবন্দিতে রুমা উল্লেখ ক💖রেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে ব্যবসায়ী জসিম সম্পর্ক তৈরি করে। এরপর শেওড়াপাড়ার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে রাখেন। মাসে মাসে টাকা দিতেন। তবে কিছুদিন ধরে রুমা জানতে পারেন, জসিম অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
রুমা জবানবন্দিতে আরও বলেন, তাকে বিয়ে না করা আর অন্য নারীর সঙ্ജগে সম্পর্কে জড়ানোর কারণে জসিমের ওপর তার ক্ষোভ তৈরি হয়। সেই ক্ষোভ থেকেই জসিমকে হত্যার 🍃পরিকল্পনা করেন। হত্যার পর লাশ গুমে তাকে সহায়তা করেন রোকসানা।
রুকু জবানবন্দিতে বলেন, রুমার সঙ্গে জসিমের সম্পর্কের বিষয়টি꧒ তিনি জানতেন। জসিমকে হত্যার ঘটনা রুমা তাক🙈ে জানিয়ে লাশ গুম করা জন্য সাহায্য চান। তখন তিনি লাশ গুম করতে সহায়তা করেন।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার জানান, রুমার সঙ্গে ফতুল্লার চাঁদ ডায়িংয়ের মালিক শিল্পপতি জসিমের অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ 🍌সম্পর্ককে কেন্দ্র করে গত ১০ নভেম্বর শেওড়াপাড়ায় রুমার ভাড়া বাসায় মাসুমকে প্রথমে দুধের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে অচেতন করা হয়। পরে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ 🎶চাপাতি ও হ্যাকস ব্লেড দিয়ে খণ্ড খণ্ড করে পাঠাওয়ের গাড়িযোগে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেন রুমা।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ নভেম্বর পূর্বাচল ৫ নম্বর সেক্টরের একটি লেকের পাড়ে কালো পলিথিনের ব্যাগে শিল্পপতি জসিমের টুকরা টুকরা মরদেহ উদ্🉐ধার করে পুলিশ।