প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “অনেক ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে হয়েছে। সাধারণত কোনো প্রকল্প শেষ হলে সেই শেষ হওয়ার অনুষ্ঠান হয় না। কখনো করা হয় না, শেষ হয়ে যায়। বাংলাদেশের জনগꦗণের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।”
শুক্রবার (৫ জুলাই) পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প🌳্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গত ৩০ জুন পদ্মা বহুম⛎ুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মে🌜য়াদ শেষ হয়েছে। সে উপলক্ষ্যে একটি সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সেতু বিভাগ।
এর আগে, গꦬত ৩ জুলাই পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানের জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে হাতে নেওয়া কার্যক্রমগুলোর ব্যয় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সেখান থেকে জানা যায়, এ অনুষ্ঠানের বাজেট পাঁচ কোটি টাকার ওপরে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পদ্মা💖সেতুর সঙ্গে যারা জড়িত, যারা জমি দিয়েছে, তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এটি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানোর অনুষ্ঠান।”
শেখ হাসিনা বলেন, “ܫক্ষমতা ছিল না বিদেশে গেছি, তখন বাংলাদেশের নামটা শুনলে কেউ জিজ্ঞাসা করত, এটা কি ভারতের কোনো অংশ? জিজ্ঞেস করত, এদেশে তো শুধু ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, দুর্ভিক্ষ লেগে থাকে। মিসকিন হিসেবে আমাদেরকে হিসেব করা হতো। যেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট,🃏 ব্যথার ছিল। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আর সেই স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা থাকবে না, আমরা মাথা তুলে কথা বলতে পারবো না, আমাদের আত্মমর্যাদাবোধ থাকবে না, এটা কি ধরনের বাংলাদেশ?”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়💃ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এতে স💝ভাপতিত্ব করেন।
অনুষ👍্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মনজুর হোসেন। প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পদ্মাসেতুর থিমসং প্রচার করা হয়। এছাড়া পদ্মাসেতুর ওপর এক𒅌টি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়। সুধী সমাবেশে সেতুমন্ত্রীর ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, সেতু বিভাগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামসহ অℱনেকে।