সম্প্রতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে প্রকাশিত সংবাদকে ‘ফেক’ বলেই দাবি করেছেন তিনি। এবার বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য🅺 করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে আয়োজিত ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “এই যে একটা স্লো🎉গান, দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত। রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়। তো, রক্ত আমরা কাদের জন্য দেব? এখন আমরা রক্ত কাদের জন্য দেব? আমি যখন দেখলাম আমরা রক্ত দিচ্ছি আর ওরা সচিবালয়ে বসে ভাগ করছে।”
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আমরা রক্ত দিয়ে যাচ্ছি আর ওরা সচিবালয়ে বসে টাকা ভাগ করছে। দ্য মেথড𓆏 অব পেমেন্ট–৫ কোটি না ১০ কোটি। একজন বলছে, ‘আমি ভাই নির্লোভ মানুষ। আমার এত লোভ নাই। ৫ কোটি হলেই চলবে।’ অন্যজন বলছে ‘১০ কোটি।’ প্রথমজন বলছে, ‘তোমার যা মনে হয়’।”
তিনি আরও বলেন, “রাস্তায় শিক্ষার্থীরা রক্ত দিয়েছে, ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে, আর এই বার্ধক্যের নেতৃত্ব সচিবালয়ে বসে আমাদের রক্ত মাড়িয়ে টাকা ভাগ করে। স্কাউন্ড্রেল...। এই বার্ধক্যের নেতৃত্বের জন্য আমরা (ছাত্র-নাগরিক) রক্ত দিতে প্রস❀্তুত না।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, “আমরা আমাদের জায়গা থেকে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই আপনারা যারা সচিবালয়ে বসে নীতিনির্ধারণ করছেন, আপনারা সচেতন হন। কারণ, ছাত্র-নাগরিক ৫ তারিখ যেভাবে হাসিনাকে তার মসনদ থেকে নামিয়েছে, আপনাদের সচিবালয় ঢাকꦑা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ মিনিটের ডিসটেন্স। আপনারা সচিবালয়ে বসে ৫ কোটি না ১০ কোটি ভাগ করবেন, আর আমরা বাজারে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসটা কিনতে পারব না, এটা হবে না।”
প্রসঙ্গত, জেলা প্রশাসক (ড☂িসি) নিয়োগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ত🦂দন্তের নির্দেশনা দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তদন্তের জন্য ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।