• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


অস্থির পেঁয়াজ ও আলুর বাজার


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৪, ১২:৫৯ পিএম
অস্থির পেঁয়াজ ও আলুর বাজার

রাজধানীতে কোরবানির পরেও কমেনি পেঁয়াজ ও আলুর দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে๊ বেড়েছে সর্বোচ্চ ৫ টাকা আর আলুর দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ৮ টাকা। ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজার।

শুক্রবার (২১𝐆 🍨জুন) নগরীর কারওয়ান বাজারে পাবনা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৯০ টাকা ও রাজশাহীর পেঁয়াজ ৮৬ টাকা। এ ছাড়া এদিন বাজারে আলুর দাম ছিল ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে বাজারে দেশি পাবনার পেঁয়াজের দাম ছিল ৮৫ টাকা ও রাজশাহীর পেঁয়াজের দাম ছিল ৮০ টাকা। এছাড়াও একই সময়ের মধ্যে আলু বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫২ থেকে ৫৫ টাকা।

এ দিন সরেজমিনে বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে💟 জানা গেছে এসব তথ্য। প্রতি শুক্রবার এই বাজারে ক্রেতা সমাগম বেশি থাকে। কিন্তু এদিন দেখা গেছে, শুক্রবার হলেও বাজারে ক্রেতা সমাগম তুলনামূলকভাবে কম। এ দিন চোখে পড়ে, পাইকারি ব্যবসায়ীদের আড়তগুলোতে পেঁয়াজ ও আলুর পর্যাপ্ত সরবরাহ। যদিও বিক্রেতারা দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে দাবি করছেন, কোরবানিকে ঘিরে পরিবহণ খরচ, শ্রমিকের মজুরি ও পণ্যের সরবরাহ কমায় বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দামে পরিবর্তন এসেছে।

তানিম নামের এক ব্যক্তি আলু ও পেঁয়াজের দোকানের সামনে পাওয়া যায়। কথা 🧸হলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, “যারা বড় ব্যবসায়ী তাদের কাছে বাজার জিম্মি হয়ে আছে। কৃষকরা অভাবের মানুষ। তাদের কাছে এই ব্যবসায়ীরা টাকা দিয়ে রেখে দেয়। পরে তারা নিজের ইচ্ছা মতো দাম বাড়ায়। কোরবানি চলে গেলো তবুও পেঁয়াজের দ𝔍াম কমেনি। আলু, আদা, রসুন সব কিছুর দাম এখনো চড়া। কীভাবে মানুষ চলবে, সেই চিন্তা নীতিনির্ধারকদের নেই।”

একই অভিযোগ মিল্টন হাꦿওলাদার নামের আরেক ক্রেতারাও। তিনি এসেছেন নগরীর বেগুন বাড়ি এলাকা থেকে। তিনি বলেন, “বাজারে সব জিনিস চড়া দামে বিক্রি হয়। বাধ্য হয়ে কিনতে হয়। কম করে কিনলেও কিনতে হয়। সাধারণ মানুষ আসলেই অসহায়।”

তেঁজগাও থেকে আসা মনির বলেন, “দাম আরও ক꧙ম হওয়ার দরকার ছিল। সব জিনিস এখনো চড়া দামে বিক্রি হলে মানুষ খাবে কীভাবে? এটা বড় ব্যবসায়ীদের নজরে আসা জরুরি।”

মানিক নামের এক পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, “হাটে পেঁয়াজের দাম বেশি। কৃষকরা দাম বাড়তে শুরু করলে, তারা আর বিক্রি করতে চায় না। কৃষকরা ভাবে দাম মনে হয় আরও বাড়বে। তখন বাজারে সরবরাহ কমে, দাম বাড়ে। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে﷽ও তাই হয়েছে। সরবরাহ বাড়া শুরু হলে দাম কমবে।”

আলুর পাইকারি বিক্রেতা সোহেল বলেন, “বাজারে শ্রমিক কম, রাস্তায় গাড়িও কম। যে কয়জন শ্রমিক পাওয়া যায় তাদের বেশি টাকা দিতে হয়। গাড়ি ভাড়া বাড়ছে এ কারণেই। তাই দাম টা এখন বেশি। তবে দাম কমবে সবকিছু স্বাভাবিক হলে। এখন ক্রেতা কম। খুব একটা ক্রেতা নেই। কোরবানিতে অনেকেই বাড়ি গেছে। আগ♋ামী সপ্তাহের মধ্যে সব স্বাভাবিক হবে আশা করা যায়।”

Link copied!