ব্যাংকগুলো এখন মুদির দোকানে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে ৬০টি ব্যাংক তুলনামূলক বিচারে অন🌃েক বেশি।
এখানে চলে আসে বাংলাদেশের ব্যাংকের আধিক্যের কথা। বর্তমানে সরকারি, বেসরকারি, বিদেশি ও বিশেষায়িত মিলে আমাদের মোট বাণিজ্যিক ব্যাংক ৬০টি। তার মধ্যে ব্যক্তিমালিকানাধীন ৪৩টি। অথচ প্রতিবেশ𝐆ী বিশাল দেশ ভারতে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে এই সংখ্যা ৩৩। পাকিস্তানে বেসরকারি ব্যাংকের সংখ্যা ২০, মালয়েশিয়ায় দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ৪৩টি।
বাংলাদেশে বেসরকারি ব্যাংক প্ౠরতিষ্ঠার ইতিহাস ও কারণ বিবেচনা করলে ব্যাংক মালিকানার একটা রাজনৈতিক চরিত্র পাওয়া যায়। বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মের ব্যাংক বলে পরিচিতি পাওয়া ১০টি ব্যাংকের জন্ম ১৯৮০-এর দশ꧙কে এরশাদ সরকারের শাসনামলে। এগুলোর মধ্যে সত্যিকার অর্থে নতুন ব্যাংক ছিল ছয়টি। বাকি চারটির মধ্যে প্রকৃত মালিকদের হাতে ছেড়ে দেওয়া দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বিদেশি মালিকানার একটা ও সমস্যায় পড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংকে রূপান্তরিত করা একটা।
এরশাদের শাসনামলের পর বিএনপির শাসনামলে অনুমোদ꧟ন পায় সাতটি ব্যাংক। এগুলো দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্যাংক বলে পরিচিত। এর মধ্যে একটি বহুজাতিক ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিসিসিআই বন্ধ হয়ে গেলে যাত্রা শুরু করে দেশি বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মোট ১৩টি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটা ছিল সমস্যায় পড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে রূপান্তরিত বাণিজ্যিক ব্যাংক। এগুলো তৃতীয় প্রজন্মের ব্ღযাংক হিসেবে পরিচিত। ২০০১ সালে আবার শুরু হওয়া বিএনপি আমলে নতুন কোনো ব্যাংক লাইসেন্স পায়নি।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। সেই আমলে ২০১৩ সালে একই বছরে অনুমোদন পায় ৯টি ব্যাংক। এগুলো চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক। তার꧑পর ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আবারও চারটি ব্যাংক খোলার অনুমো༺দন দেওয়া হয়েছিল। ১৯৯৬ সাল থেকে বিভিন্ন মেয়াদে আওয়ামী লীগের পরবর্তী ২০ বছরের শাসনামলে মোট ২৬টি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়।