দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে নিত্যপণ্যের𒐪 দাম। কোনোভাবেই যেন দামের ꦓলাগাম টানা যাচ্ছে না।
সোমবার (৬ অক্টোবর) কারওয়ান🤪 বা🎃জারসহ রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৮০-৩০০ টাকা দরে। প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
ক্রেতাদের অভিযোগ ঝড়-বৃষ্টি, বন্যা-খরা, শীত কিংবা তাপপ্রবাহ, সরবরাহ সং🐼কট ইত্যাদি নানা অজুহাতে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম ব✤াড়ানো হচ্ছে। এছাড়া ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সঠিক তদারকির অভাব রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
কারওয়ান বাজারে আসা মোহাম্মদ সাব🔯্বির নামের এক ক্রেতা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, “দ্রব্যমূল্য বাড়াতে অজুহাত ছাড়া কোনো কিছুই লাগে না।ꦓ আজ গরম তাই দাম বেশি, কাল বৃষ্টি তাই দাম বেশি, পরশু আবার সরবরাহ সংকট-এভাবে নানা অজুহাতে বিক্রেতারা দাম বাড়াচ্ছে। আমাদের কিছু করার নেই, আমরা সয়ে যাচ্ছি।”
বাজার করতে আসা মাহমুদ জানান, “ঠেলাগাড়ি ঠেলে দিনে আয় করি ৫০০-৬০🤡০ টাকা। বৃষ্টির কারণে সেই আয় কমেছে। আমার সারা দিনের আয় দিয়ে এক বেলার বাজার হচ্ছে না। এভাবে সব কিছুর দাম বাড়ল আমরা কীভাবে দিনযাপন কর🎃ব?”
নাজমা নামের এক গৃহিꩲণী বলেন, “মরিচের দামꦺের কারণে আজ আর মরিচ কিনিনি। যাওয়ার পথে বোম্বাই মরিচ নিয়ে যাব। দাম কমার আগ পর্যন্ত মরিচ কিনব না।”
সবজ๊ি বিক্রেতা সবর আলী বলেন, “বৃষ্টির কারণে মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। তাই দামও বেড়েছে। আমরা তো আর ইচ্ছে করে দাম বাড়াই না। বেশি দামে কিনেছি তাই দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।♌”
আরেকজন সবজি বিক্রেতা রিংকু বলেন, “সারা ♔দেশেই তো বৃষ্টি হচ্ছে। আর মরিচের দাম হঠাৎ করেই বেড়েছে এমন নয়। গত কয়েকদিন ধওরেই দাম বেড়েছে।”
একই অবস্থা ডিমের বাজারেও। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির প্রতি ডজন ডিমের দাম মানভেদে খুচরায় ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকায় বিক্রি꧒ হচ্ছে। ডিমের দাম নিয়ে ক্রেতাদের ক্ষোভ-অসন্তোষ থাকলেও তাতে পাত্তাই দিচ্ছেন না বিক্রেতারা। কোনো কারণ ছাড়াই কারসাজি করে ব্যবসায়ীরা ডিমের দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভোক্তারা।
রিকশ♍াচালক মো. আব্দুল নামে আক্ষেপ করে বলেন, “আমাদের মতো যারা নিয়মিত মাছ-মাংস খেতে পারি না, তাদের জন্য ডিমই ছিল ভরসা। অভাবের সংসারে ডিম সবচেয়ে ভালো খাবার। সবার পছন্দ, কম দাম, পোষায় বেশি। ডিম ছিল বলে একবেলা ঝোল-ভাত জোটে। এখন দেখি দিন দিন ডিমের দামও বাড়ছে। এগুলো দেখার কেউ নাই।”
ডিমের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দামও বাড়তি। প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। আর সোনালি মুরগির কেজি রাখা হচ্ছে ২৭০ টাꦗকা।