রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর মধ্যে কারওয়ান বাজার ও শাহবাগ অন্যতম। একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবেꩵ, শাহবাগে রয়েছে বেশ কয়েকটি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র। আর কারওয়ান বাজার নিত্যপণ্যের বাজার। দুইটি স্থানে বিভিন্ন ব্যাংক, গণমাধ্যমের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্টে যাতায়াতের জন্♕য যানজট বিহীন রাস্তার সংযোগস্থল তো রয়েছেই।
মেট্রো রেল চালু হওয়ার একবছর পর রোববার (৩১ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজার ও শাহবাগ মেট্রো স্টেশন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়꧅া হয়েছে। এতে আরও এক ধাপ সহজ হলো নগরবাসীর মেট্রো যাত্রা। কারণ, এই নগরীর বাসিন্দাদের সকাল হয় যানজটকে সঙ্গী করেই।
সরেজমিনে স্টেশনগুলো ঘুরে দেখা যায়, নগরীর বিভিন্নস্থান থেকে মেট্রো রেলে চেপে যাত্রীরা আসছেন। তবে দুটো স্টেশনেই মিরপুর কিংবা উত্তরা স্টেশনের মতো ভিড় ছিল না। এদিকে ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মেট্রো কোচে ভ্রমণ করে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। এই চিত্র যেন প্রকাশ করছে যানজট থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত কর্মস্থলে যাওয়ার এখন প্রধান মাধ্যম ম🔜েট্রো রেল।
কথা হয় অয়ন মজুমদার নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। ভোগান্তি কমার আনন্দ প্রকাশ করে এই তিনি বলেন, “আমার অফিস শাহবাগে। মিরপুর ১১ নম্বর থেকে প্রতিদিন এখানে আসতে হয়। গতকাল থেকে একটু স্বস্তি ফির🐻েছে। রাজধানীর বড় সমস্যা যানজট। আগে সকাল ৮টার দিকে বের হয়ে গাড়িতে থাকতে হতো ২ থেকে আড়াই ঘণ্টা। কিন্তু আজকে এলাম ♏আনুমানিক ১৫ মিনিটে। স্যালুট জানাই সরকারের এমন উদ্যোগকে।”
গোলাম রব্বানী নামের আরেক যাত্রী বলেন, “💃আমা𒁏র অফিস কারওয়ান বাজারের কাছেই। আজকে অনেক দ্রুতই কর্মস্থলে আসতে পেরেছি। মেট্রো রেল হওয়াতে অনেক সুবিধা হয়েছে।”
সলিমুল্লাহ নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, “ঢাকায় একবার বাসে উঠলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। কিন্তু মেট্রো রেলে ওই পরিবেশ নেই। আমি মনে করি স্টেশন যত বাড়বে, রাজধানীবাসীর ভোগান্তিও ততো কমবে। আগে মানুষ হাতেগোনা কয়েকটা স্টেশন পেয়েছে। এখন ১৬টি স্টেশনের সুবཧিধা পাচ্ছে। বিষয়টা মন্দ নয়। দ্রুতই সবগুলো স্টেশনে দিয়ে ফুল টাইম মেট্রো রেল চালু হোক, এই প্রত্যাশাই করি।”