• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


বাহাদুর শাহ পার্ক বাণিজ্যমুক্ত করতে সুধী সমাবেশ


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৪, ০৯:৩০ পিএম
বাহাদুর শাহ পার্ক বাণিজ্যমুক্ত করতে সুধী সমাবেশ
সুধী সমাবেশ। ছবি : প্রতিনিধি

ব্রিটিশবিরোধী প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহাসিক স্থান শহীদ বেদী বাহাদুর শাহ পার্কের অভ্যন্তরে বাণিজ্যিক স্থাপনা ও ফুডভ্যান ক্যান্টিন ও ইজারা বাতিলের দাবিতে সুধী সমাবেশ করেছেন ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক ও প🙈ার্কের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদ।

সোমবার (২১ অক্টোবর) প্রাণ-পরিবেশ-প্রকৃতি, 🀅শরীর চর্চার পরিবেশ নষ্টকারী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড বাতিল করতে এই সমাবেশ করা হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, “পুরান ঢাকার অক্সিজেন ক্ষেত স্থান💛 আমরা কোনোভাবেই দখল করতে দেবো না। দখলদারদের প্রতিরোধ করব।”

এ সুধীও সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্🏅টসহ বিভিন্ন পরিবেশ বাদী সংগঠন।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক ইভান তাহসিব বলেন, “আমরা বিশাল এক গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এখানে এসেছি। আসলে আমরা কী জন্য এই আন্দোলন করেছি, তা হয়তো এখন ভুলে গেছি। ♏এর আগে দেশের ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ও জাতিকে সব সময় বিক্রি করেছেন। আমরা চাই না এই সরকারও একই কাজ করুক। কারণ আমরা এই আন্দোলন করেছি দেশকে সুন্দর করে গড়ার জন্𒆙য। কোনোভাবেই আগের মতো সব জাগায় ব্যবসায়িক সরকার হতে দেবো না। আমরা চাই আমাদের দেশটা সুন্দর সমৃদ্ধ থাকবে। ইতিহাস ঐতিহ্যের স্থানগুলো সংরক্ষণ করতে হবে।”

অধ্যাপক ড. মুর্শিদা বলেন, “ঢাকার বুকে দাঁড়িয়ে থাকা এই এক খণ্ড পার্ক যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নাম। এই পার্কটি আমাদের ইতিহাস স্মরণ করে দেওয়ার পাশাপাশি ঢাকার মানুষজনকে কোলাহল🌠পূর্ণ পরিবেশ থেকে মুক্তি দিয়ে প্রকৃতির সংস্পর্শে নিয়ে আসে। কিন্তু আজ এই পার্কটিকে নিয়ে চলছে বাণিজ্যিকীকরণ। ভিক্টোরিয়া পার্ককে নিয়ে এ ধরনের বাণিজ্যিক চিন্তা বাদ দিয়ে একে সংস্কার করতে হবে। সংস্কার মানে এক ইজারাদার থেকে অন্য ইজারাদার হাতে ভিক্টোরিয়ার হস্তান্তর নয়। এর অবকাঠামোত উন্নয়ন করতে হবে। যাতে করে ক্লান্ত পথিক ভিক্🗹টোরিয়ার পার্কের মনোরম পরিবেশে হারিয়ে তার প্রশান্তি খুঁজে।”

আনু মোহাম্মদ বলেন, “আমরা বর্তমানে এমন এক ঢাকায় বাস করি, যেখানে এক খণ্ড খালি জায়গা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ঢাকার বুকে এই এক খণ্ড জায়গা যা মানুষকে যেমন প্রশান্তি দেয়, তেমনি ൩করে বিনোদিত। কিন্তু বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে এই পার্কটিকে নিয়ে বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়। যার মূলে ছিল মেয়র তাপস। যিনি ছিলেন, স্বৈরাচারী সরকারের দোসর। তার বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় দখলদার হিসেবে সুপরিচিত ছিল। 💟ক্ষমতা আর টাকার লোভে এমন ঐতিহাসিক জায়গা তারা বাণিজ্যিক কাজে ইজারা দিয়েছিল। তাপস তথা ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও তাপসের উত্তরসূরি এখনো আছে। তারা আবার এই ঐতিহাসিক স্থানটি ইজারা দিতে চাচ্ছে। এ সকল অন্যায় বন্ধ করতে প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ উপদেষ্টাকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।”

Link copied!