♔প্রধানমন্ত্রী শেখ ജহাসিনা দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
রোবববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কলকা🧸তার রোটারি সদন অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও অগ্রগতি নিয়েও প্রচারণা চালাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এর অংশ হিসাবে কলক꧋াতায় এটির আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটি।
দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধটি একটি মহাকাব্য, আর এর অবিসংবাদিত মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু। তার জীবন মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস। তাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও শেখ হাসিনা এখন সমার্থক। এ উন্নয়নের গতিকে আরও বেগবান ও গতিময় করতে হবে। তবেই বিশ্বের বুকে ২০৪১ সালের 🌜মধ্যে বাংলাদেশ একটা উন্নত দেশে রূপান্তর হবে।”
কৃষিমন্ত্রী বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যে কৌশল আমরা নিয়েছি, যেভাবে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি, তাতে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। ইতিহাসের মধ্যে দিয়ে একটি জাতি বেঁচে থাকে, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে পথে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২১ বছর পরিকল্পিতভাবে এ ইতিহাসক🐈ে বিকৃত করেছে বিএনপি, জামায়াত, রাজাকার, আল বদরসহ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। তারা এখনো ইচ্ছাকৃতভাবে ইতিহাসবিস্মৃত হয়ে ও প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে চায়। দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চায়। তাদের ব্যাপারে দেশে-বিদেশে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসে। সেই নির্বাচনে আমরা জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। প্রধা𝔍নমন্ত্রী ১৪ বছরে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন করেছেন, যে উন্নয়নগুলো দৃশ্যমান। যা সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হয়েছে।”
বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “২০১৫ সালে আমরা দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। সামাজিক ইনডেক্সগুলোতেও আমরা খুব ভালো ফল করেছি। আমাদের দারিদ্রতা অর্ধেক কমিয়ে এনেছি অর্থাৎ ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ। অতি দরিদ্র ভাগ যেখানে ১৮-১৯ শতাংশ ছিল সেটা এখন ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। অবকাঠামো, ব্রিজ, পদ্মা সেতু, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভাবনীয় সাফল্য এসেছ📖ে। ১০০টি ইকোনোমিক জোন তৈরি করা হয়েছে সেখানে শিল্প, কলকারখানা করা হচ্ছে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছ🔥ে।”
বাংলাদেশ- ভারত সম্পর্কের প্রসঙ্গে ড. রাজ্জাক বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। জীবন বাজি রেখে আমাদের পাশে থেকে যু♉দ্ধ করেছে, পরম আত্মত্যাগ স্বীকার করেছে। আমরা উভয় দেশই সব দিক থেকেই একে-অপরের ওপর নির্ভরশীল। যদিও অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিক দিক থেকে ভারত একটু বড় দেশ। তারপরও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। দুই দেশের মধ্যে এই সুসম্পর্ক আজীবন অটুট থাকবে।”
