এক নারী টꦦিকটকারকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় আরেক টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) জামিন দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) ঢাকার মহানগর দা💯য়রা জজ আদালতের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন জামিন দেন।
জামিনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগে📖র সহকারী পুলিশ কমিশনার নুরুল মুত্তাকিন।
গত ১১ জুন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রিন্স মামুনকে হাজির করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওইদিন জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর প্রিন্স মামুনের পক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করা হলে ไআদালত সোমবার শুনানির দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন দেন।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে দাবি করেন। আসামিপক্ষ থেকে আরও বলা হয়, শুধুমাত্র হয়রানি করার জন্য এই মিথ্যা মামলা করা🐭 হয়েছে।
গত ১০ জানুয়ারি রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমি𒈔ল্লার দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করে দাউদকান্দি থানা-পুলিশ। এরপর রাত ১২টায় তাকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।&nb♋sp;
এর আগে গত ৯ জুন বহুল আলোচিত-সমা𓄧লোচিত ৪৮ বছর বয়সী এক নারী টিকটকার প্রিন্স মামুনের ব🐼িরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে বাদীর তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন তাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন 🤪করে। পরে মামুন নারী টিকটকারকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন বিয়ে করবে বলে জানান। তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে বাদী নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন।
মামলায় অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, ২০২২ সালের ৭ জানুয়ার𓆏ি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে বাদীর বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। ওইদিন থেকে দুইজন একই রুমে থাকতে শুরু করেন। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে একাধিকবার মামুন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। কিন্তু পরে বিয়ে করা নিয়ে টালবাহানা শুরু করে। সর্বশেষ গত ১৪ মার্চ মামুন বাদীর বাসায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে মামুনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বাদীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মামুন ও বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।