একজন রাজনৈতিক নেতাকর্মীর যেমন মানবাধিকার আছে, তেমনি একজন পুলিশেরও মানবাধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেছেন, “রাজনৈতিক নেতার যেমন মানবাধিকার আছে, রাজনৈতিক কর্মীর যেমন মানবাধিকার আছে, যিনি রাস্তায় আন্দোলন করবেন তার মানবাধিকার আছে, যে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন—তারও কিন্তু মানবাধিকার আছে, স𒈔েও একটি মানুষ; এই বিষয়টি আমরা মনে হয় গুলিয়ে ফেলি।”
শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় মꦆানবাধিকার কমিশনের প্💖যানেল আইনজীবীদের কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল হাসান 📖বলেন, “একজন মানুষ, অবশ্যই সংবিধান তাকে নিশ্চয়তা দিয়েছে, রাস্তায় তিনি আন্দোলন করবেন, মিছিল করবেন, সবই করবেন। অতিরিক্ত বল প্রয়োগ তিনিও যদি করেন পুলিশের ওপর আর পুলিশ যদি অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে; দ🍌ুটিই কিন্তু অপরাধ। দুটিই কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে যায়।”
উপস্ಞথিত লোকদের উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “সম্প্রতি কিছু ঘটনা ঘটেছে আপনারা দেখেছেন, সেখানে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে। রাজনীতিবিদরা পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহনশীল না হཧলে দেশের পরিস্থিতি ভালো হবে না।”
ওবায়দুল হাসান আরও বলেন, “বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। ওইদিন জাতির পিতাকে হত্যꦫার পর ꦡহত্যাকাণ্ডের বিচার করা যাবে না মর্মে যে আইনটি পাস হয়; ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স পাস করার মধ্য দিয়ে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়।”