পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে ঢাকা ফিরতে শুরু♈ করেছেন কর্মজীবী মানুষ। বাড়ি যেতে যানজটের কবলে পড়লেও ফিরতে তেমন যানজট নেই। এরপরও দুর্ভোগ ও ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন যাত্রীরা🧔।
শনিবার (২২ জুন) গাবতলী, মহাখালী ও আব্দুল্লাহপুর ঘুরে দেখা যায়, কর্মস্থলে যোগ দিতে ঈদไুল আজহা শেষে পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন কর্মব্যস্𝐆ত মানুষ। কেউ পরিবার নিয়ে ফিরছেন কেউবা একা। কারও হাতে চালের বস্তা, আবার কারও হাতে কোরবানির মাংসের ব্যাগ। তবে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়তে যাত্রীদের মুখ হাসি দেখা গেলেও ফেরার সময় নেই উজ্জ্বলতা।
স্পেশাল বাসে ঢাকায় ফিরেছেন ফাতেমা। তিনি বলেন, “ঈদে ফিরেছিলাম সন্তান নিয়ে। চাকরির কারণে দুই দিন আগেই স্বামী ঢাকা চলে এসেছেন। বাচ্চাদের স্কুল খুলবে কাল থেকে। তাই আরও দু-দিন থাকার ইচ্ছে সত্ত্বেও ফিরতে হলো আজ। ঈদ আনন্দের সুখস্মৃতি নিয়ে ঢাকায় ফিরেই ভোগান্তিতে পড়েছি। বাস থেকে নেমেই গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কবলে পড়েছি। কাউন্টার থেকে দূরে রাস্তার 🌜ওপর বাস থেকে নামিয়ে দেওয়ায় বৃষ্টিতে ▨কাকভেজা হতে হয়েছে।”
রংপুর থেকে পারফেক্ট পরিবহনে গাবতলী মাজার রোডে নেমেই ভাড়া করা মোটরসাইকেলে উঠতে দেখা যায় এক মধ্যবয়সী যাত্রীকে। কাঁধে ব্যাগ। মোটরসাইকেলে উঠতে উঠতে তিনি বলেন, “এখন আর বাসায় ঢোকার সময় নাই। বউ বাচ্চা ✱বাসায় ফিরবে, আমি সরাসরি অফিসে। ওদের জন্য পরিচিত সিএনজি আগেই ফোনে ফোনে ঠিক করে রেখেছিলাম।”
দিনাজপুর থেকে নাবিল পরিবহনে কাউন্টারের সামনে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে নামেন ইকবাল হোসেন। টোকেন নিয়ে ৩টা বড় লাগেজও বুঝে নেন। লাগেজে করে আম, কোরবানির 🥃মাংস, কাপড় সঙ্গে গ্রামের সবজিও নিয়ে আসেন। গন্তব্য কল্যাণপুর হলেও তার কাছে সিএনজিচালক ভাড়া হাঁকা🔴ন ৩০০ টাকা।
ইকবাল বলেন, “বৃষ্𓂃টি 🐷আবহাওয়া দেখে সিএনজি চালকরা বেশি ভাড়া চাইছে। এখানে রিকশাও আসে না। রিকশা ধরতে গেলে আরও ভোগান্তি। যেতে হবে টেকনিক্যাল মোড় পর্যন্ত। একে তো লাগেজ নামাতেও কাদা, ফুটপাতেও কাদা। অনেকটা বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়ায় ফিরতে হচ্ছে বাসায়।”
এর আগে সোমবার (১৭ জুন) উদযাপিত হয় পবিಌত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উদযাপন করতে নাড়ির টানে আগেই ঢাকা ছাড়ে মানুষ। ঈদের꧃ ছুটি শেষে সরকারি প্রতিষ্ঠান খুলেছে বুধবার (১৯ জুন)। অধিকাংশ সরকারি চাকরিজীবী ঢাকায় ফিরেছেন। এখন বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন।