গাজীপুরের শ্রীপুরের পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. হৃদয়ের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কানিহারি গ্রামে। মা–বাবাসহ পুরো পরিবার গ্রামেই থাকে। শ্র🐭ীপুর পৌর শহরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে এ কাজ করেন প্রায় চার বছর ধরে। ঈদে বাড়ি যাবেন না তিনি।
শুধু হ♔ৃদয় নয়, তার﷽ মতো এমন অসংখ্য পরিচ্ছন্নতাকর্মী ঈদে বাড়ি যাবেন না। তারা জানালেন, অনেকেই ঈদের ছুটিতে শহর ছেড়ে গেলেও পরিচ্ছন্নতার কাজ করার জন্য তারা থেকে গেছেন। ঈদের দিন বর্জ্য অপসারণ শেষ করে তারা পরদিন বাড়ি যাবেন। প্রথম আলো এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
মো. হৃদয় জানালেন, স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি কোরবানির ঈদে পশু জবাই করার পর বর্জ্য অপসারণের জন্য তাদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বর্জ্য অপসারণ করতে হবে সন্ধ্যার আ𓄧গেই। 🌼কোনো ঈদেই বাড়ি যান না। অনেকে তাদের কাজটাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। কিন্তু এটা তাদের কাজ, তারা এটা ঠিকভাবে করার চেষ্টা করেন।
এ পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বলেন, প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত শহরের বাড়ি বাড়ি ঘুরে নিজেদের 𓂃ভ্যানে বর্জ্য সংগ্রহ করেন তারা। এরপর সে বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলেন। বিনিময়ে প্রতি মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে ঘরপ্রতি ৭০ টাকা করে আদায় করেন। আদায় করা টাকা এলাকার একজনের কাছে জমা থাকে। সে টাকা থেকে প্রতি মাসে তারা বেতন হিসেবে ১২ হাজার টাকা পান।
তারা জানালেন, শ্রীপুর পৌর শহরে বর্জ্য অপসারণের জন্য ৬০টি ভ্যান কাজ করে। আর এসব ভ্যওানে আবর্জনা সংগ্রহের কাজে ১৫০ জন যুক্ত আছেন। পৌর শহরের শ্রীপুর মাওনা ১ নম্বর সিঅ্যান্ডবি, ২ নম্বর সিঅ্যান্ডবি আনসার রোড কেওয়া, বেতঝুড়ি, গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি, গিলারচালা, কড়ইতলা, বকুলতলা, ছাপিলা পাড়া, আমতলা, বহেড়ার চালা, ভাংনাহাটিসহ বিভিন্ন এলাকায় কাজ করেন।
শ্রীপুর উপজেলার উত্তর-পূর্বᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ দিকের গ্রাম কাওরাইদের বাসিন্দা মো. শান্ত। তিনি প্রায় দুই বছর ধরে পরিচ্ছন্নতার কাজে যুক্ত।
তিনি বলেন, “আমরা বাড়িত গেলে ময়লা পরিষ্কার করব কেডা? ঈদের দুই দিন পরে বাড়িতে যাব। ছুটি পাওয়া যায় না। কোরবানির ঈদে তো ꩲএকদমই ছুটি মিলে না।”
শ্রীপুর পৌরসভার কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর (বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক পরিদর্শক) মো. জহির রায়হান বলেন, কোরবানির ঈদে পৌর শহর পরিচ্ছন্নতার জন্য কর্মীদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা সকাল থেকেই নিজ নিজ এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। এ জন্য তাদের অ𒈔তিরিক্ত ৩ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হবে।