সত্তর দশকের অন্যতম কবি মাকিদ হায়দারের মরদেহ বাংলা একাডেমি চত্বরে নেౠওয়া হচ্ছে না। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির কারণে মরদেহ সেখানে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কবির পরিবার।
এর আগে, বুধবার দুপুরে কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ বাংলা একাডেমি চত্বরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বাদ জোহর উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের মসজিদে তার 🧔প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সেখান থেকে কবিকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বাংলা একাডেমি চত্বরে নেওয়ার কথা ছিল।
তবꦅে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হওয়ায় উত্তরায় প্রথম জানাজা শেষে কবিকে প🎀াবনায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে তাকে দাফন করা হবে।
বুধবার সকাল সাড়ে আটটায় উত্তরার নিজ বাসায় মারা যান কবি মাকিদ🔥 হায়দার। তিনি নানা রোগে ভুগছিলেন।
মাকিদ হায়দার ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পাবনার বিখ্যাতไ হায়দার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। 🔯তার পরিবারের প্রত্যেকেই বাংলা ভাষায় প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক। প্রত্যেকে স্বনামে পরিচিত।
তাদের মধ্যে প্রয়াত হয়েছেন বরেণ্য নাট্যকার জিয়া হায়দার ও রশিদ🎃 হায়দার। অপর ভাইদের একজন নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন জাহিদ হায়দার, আবিদ হায়দার ও আরিফ হায়দার। তারাও সাহিত্য-সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত।
পাঁচ দশক ধরে সাহিত্যে একটানা ভূমিকা রেখে গেছেন মাকিদ হায়দার। নিজস্ব একটা ভাষায় কবিতা লেখেছেন, সেই ভাষা ছিল আধুনিক ও ♏পরিমিত।
তার উল্লেখযোগ্য লেখ🗹ার মধ্যে রয়েছে, ‘রোদে ভি🧔জে বাড়ি ফেরা’ ‘আপন আঁধারে একদিন’ ‘রবীন্দ্রনাথ: নদীগুলা’ ‘বাংলাদেশের প্রেমের কবিতা’ ‘যে আমাকে দুঃখ দিলো সে যেনো আজ সুখে থাকে’ ‘কফিনের লোকটা’ ‘ও প্রার্থ ও প্রতিম’ ‘প্রিয় রোকানালী’ ‘মমুর সাথে সারা দুপুর’।
মাকিদ হায়দ𒉰ার বাংলা একাডেমিসহ দেশের উল্লেখযোগ্য সাহিত্য൩ পুরস্কারে ভূষিত।