বিদ্যুৎ খাতের বিশেষ বিধান বাতিল করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক ম. তামিম।🀅 তিনি বলেছেন, “টেন্ডার ছাড়া প্রকল্প নেওয়ায় প্রতিযোগিতামূলক দাম পাওয়া যাচ্ছে না।”
রোববার (২৩ জুন) রাজধানীর মহাখালীর ব▨্রাক ইন সেন্টারে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বাজেট বরাদ্দ নিয়ে এক আলোচনা অনুষ𝐆্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, “সবার আগে একটি আধুনিক জ্বালানি নীতিমালা প্রয়োজন। তা না করে জোড়াতালি দিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এজন্য একের পর এক ‘মাস্টার প্ল্যান’ ফেল করছে। বিদ্যুৎ খাতের বিশেষ বিধান বাতিল করতে হবে। এখনো ১২-১৩ টাকায় সৌর বিদ্যুতের চুক্তি হচ্ছে। ꦉঅথচ দর প্রক্রিয়ায় গেলে এটি ৮-৯ টাকায় করা সম্ভব।”
অনুষ্ঠানে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে স্পষ্ট কিছুই নেই। সরকার এই খাত꧅ নিয়ে কী করবে, তা নিয়েও সবাই অন্ধকারে।”
খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “দেশে এখন বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ৩০ হাজার ৭৩৮ মেগাওয়াট। কিন্তু উৎপাদন🙈 হচ্ছে ১༺৪ হাজার মেগাওয়াট। ব্যবহার করা না গেলেও কেন উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে?”
খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, “সরকার এখন যে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি করেছে, তা ২০৩০ সালেও প্রয়োজন হবে না। আজ থেকে ৬ বছরে চাহিদা দা𒁃ঁড়াতে পারে ১৯ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। ২৫ শতাংশ রিজার্ভ ধরলে তখন ২৩ হাজার ২৫২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা হলেই হয়। আবার সক্ষমতা বাড়লেও দেশে লোডশেডিং হচ্ছে। গরমে গড়ে এক হাজার ১০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে।”
গত কয়েক বছর ধরে বি🅰দ্যুৎ খাতের বিশেষ বিধান বাতিল করা নিয়ে বেশ আলোচনা রয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এই বিশেষ বিধান বাতিল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে তা এখনো বাতিল 𒉰করা হয়নি। প্রতি বছর বাজেট প্রস্তাব করার সময় বিদ্যুৎ খাতকে বিশেষ গুরুত্বসহকারে দেখা হয়। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এ খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৯ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা।