খাদ্যদ্রব্য অবৈধ🧸 মজুতে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারা𓆏দণ্ডের বিধান রেখে ‘খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে⛦ প্🌠রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকের এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মো. মাহবুব হোসেন বলেন, “আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি সরকার নির্ধারিত পরিমাণের বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে বা মজুত সংক্রান্ত সরকারের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে ඣদণ্ডিত হবেন। অর্থের পরিমাণ আদালত নির্ধারণ করবে। তবে শর্ত থাকে যে, এ অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্র♏মাণ করতে পারেন যে, তিনি আর্থিক বা অন্য কোনো লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া মজুত করেছিলেন, তা হলে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল আইনটি নীতিগত অনুমোদ✤ন দেওয়া হয়। সোমবার আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলো। এ আইনটির মাধ্যমে মূলত আমাদের দানাদার খাদ্যদ্রব্য যেমন- ধান, চাল, গম, আটা ভুট্টা ইত্যাদি উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিপণন, বিতরণ সংক্রান্ত যেসব অপরাধ আছে সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। চিহ্নিত করে সেসব অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “‘ফুড (স্পেশাল কোর্ট) অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ ও ‘দ্য ফুডগ্রেইনস সাপ্লাই (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাকটিভিটি) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯’ এ দুটি আইনের সংমিশ্রণে নতুন আইনটি করা হয়েছে। আইনে মোট ২০টি ধারা আছে। যদি কোনো ব্যক্তি কোনো অনুমোদিত জাতের খাদ্যশস্য থেকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যকে ওই ধরনের জাতের উপজাত পণ্💎য হিসেবে উল্লেখ না করে ভিন্ন বা কাল্পনিক নামে বিপণন করেন; খাদ্যদ্রব্যের মধ্য থেকে কোনো স্বাভাবিক উপাদানকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে অপসারণ করে বা পরিবর্তন করে উৎপাদন করেন বা বিপণন করেন বা খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কৃত্রিম উপাদান মিশিয়ে ღউৎপাদন বা বিপণন করেন বা লাইসেন্স ছাড়া বা মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সের মাধ্যমে বা লাইসেন্সে উল্লিখিত পরিমাণের চেয়ে বেশি উৎপাদন করেন তবে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।”
মাহবুব হোসেন বলেন, “সরবরাহ সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ডꦓে𓂃র বিষয়ে খসড়া আইনে বলা হয়েছে, পুরোনো খাদ্যদ্রব্য পলিশিং বা অন্য কোনো খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মিশ্রণ করে সরকারের খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহকালে সরকারি গুদামে রাখা খাদ্যদ্রব্য বৈধ বা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে, দেশে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের পরিবর্তে আমদানিকৃত খাদ্যদ্রব্য বা সরকারি গুদামের পুরোনো বা বিতরণ করা সিল বা বিতরণ করা হয়েছে এমন চিহ্নযুক্ত খাদ্যদ্রব্যভর্তি বস্তা বা ব্যাগ সরকারি গুদামে সরবরাহ করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।”
তিনি বলেন, “কোনো ব্যক্তি খাদ্য অধি💃দপ্তরের বিতরণ করা সিল বা বিতরণ করা হয়েছে এমন চিহ্নযুক্ত সিল ছাড়া সরকারি গুদামের খাদ্যদ্রব্যভর্তি বস্তা বা ব্যাগ বিতরণ, স্থানান্তর, কেনাবেচা করলে সর্বোচﷺ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।”
বিভ্রান্তি সৃষ্টি সং🍸ক্রান্ত অপরাধের শাস্তির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “কোনো ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন সম্পর্কিত কোনো মিথ্যা তথ্য বা বিবৃতি তৈরি, মুদ্রণ, প্রকাশ, প্রচার বা বিতরণ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “কোনো কোম্পানি এ আইনে অধীনে কোনো অপরাধ করলে ওই অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টরা রয়েছে, এমন প্রত্যেক প্রধান নির্বাহী, পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব, অংশীদার, কর্মকর্তা বা কর্মচারী এ অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে। যদি না তিনি প্রমাণ করতে পারেন এ অপরাধ তার💯 অজ্ঞাতসারে হয়েছে এবং তিনি ওই অপরাধ রোধ করার জন্য তিনি যথাযথ চেষ্টা করেছেন।”