দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়িতে ছু𓄧টেছেন লাখ লাখ মানুষ। বাস, ট্রেন, ট্রাক-পিকআপ-ছোট গাড়ি যে যা পারছেন তাতে চড়ে বাড়ি যাচ্ছেন।
পদ্মাসেতু হওয়ায় দক্ষিণের মানুষরা বাসে সহজে যাতায়াত করতে পারছেন। কিন্তু যারা ꦦলঞ্চে ভ্রমণ করেন তারা ভিড় জমাচ্ছেন সদরঘাটে।
রোববার (১৬ ꦓজুন) সকাল থেকে রাজধানীর প্রধান লঞ্চ টার্মিনাল সদরঘাটে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় শুরু হয়। বিকেল হতে🐻ই সেটি বেড়ে যায় বহুগুণ। যাত্রী বোঝাই না হওয়া পর্যন্ত ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না কোনো লঞ্চ।
কয়েকটি লঞ্চ ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা পরিবার-পরিজন ও মা🔯লামাল নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে লঞ্চের ডেকে বসে আছেন। পন্টুনে ভেড়ানো বেশির ভাগ লঞ্চের ডেক যাত্রীতে পূর্ণ। যাত্রী বোঝাই হলেও আরও বেশি যাত্রী ওঠানোর জন্য হাঁ🧜কডাক দিচ্ছেন লঞ্চ শ্রমিকরা।
যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আসা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে অ্যাডভেঞ্চার-১ লঞ্চে চড়ে বরিশাল যাবেন আহসান রেজা লিমন। তিনি বলেন, “আমাদের জন্য তো এখন সড়ক, নৌ-পথ দুটোই খোলা। যেখান দ꧅ꦜিয়ে সুবিধা সেখান দিয়ে যাওয়া যায়। তবে আমি নৌ-পথে চলাচল করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। সড়ক দিয়ে বরিশাল যাওয়া সহজ এবং নৌপথের চেয়ে অনেক কম সময় লাগে। পরিবারকে বাসে করে আগেই পাঠিয়ে দিয়েছি বাড়িতে, এখন আমি একাই যাচ্ছি।”
মগবাজারের বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী কামাল হোসেন চাঁদপুরগামী লঞ্চ এমভি সোনারতরী-১ এ চড়ে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বাড়ি যাচ্ছেন। ঈদ যাত্রꦰা কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার জন্য বাড়িতে যাচ্ছি। লঞ্চে যাত্রী চাপ বেশি থাকবে তাই সকাল সকাল রওনা দিয়ে এসেছি। ঢাকার রাস্তায় এখন অনেকটাই ফাঁকা। ইতোমধ্যে অনেকে ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। যদিও আমাদের এই লঞ্চে যাত্রীর চাপ একটু বেশি, তাই কষ্ট হলেও ঈদ আনন্দের কাছে এটা কিছুই না। কারণ, লঞ্চের🅺 চাইতে সড়ক পথে ভ্রমণ আরও বেশি কষ্টের।”
বাংলাদেশ অভ্যন্তর🏅ীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ও বাংলাদেশ অভ্যন্ত🐻রীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা যায়, যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে এবার ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের আওতায় সদরঘাট টার্মিনাল থেকে মোট ১৮০টি লঞ্চ ছাড়বে। এসব নৌ-পরিবহনের মধ্যে প্রতিদিন ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে ৯০টি, বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকায় ফিরে আসবে ৯০টি লঞ্চ।