বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ১🎶৪ মে নির্ধারণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের ধার্য দিনে সাক্ষী আব্দুল বাকীকে আইনজীবীরা জেরা করেন। এরপর ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শ💜েখ হাফিজুর রহমান স🐈াক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
🅰অসুস্থ থাকায় এদিনও খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী হাꦜজিরা দাখিল করেন।
গত বছর ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠন🦄ের আদেশ দেন।
অপর আসামিরা হলেন, তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াব🎐িষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগ🧸েরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। তাদের মধ্যে প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বি꧙রুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১🌞 জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
চার্জশিটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্♍ট রুল ডিচার্জ করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্য⛦ক্ত🦋 দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অর্থ আত্মসাতের দুর্নীতি মামলায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। তিনি ওইদিন মামলায় কারাগারে থাকাবস্থায় চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আতꦦ্মসাতের মামলায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত। দণ্ডিত হওয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় একই বছর ৩০ অক্টোবর আপিলে হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর জেলে থাকার পর সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ দুটি শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। তখন দেশে করোনা মহামারি চলছিল। এরপর থেকে পরিবা🌠রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।