উত্তর-উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। এক অংকের ঘরেই ওঠানামা করছে তাপমাত্রার পারদ। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলেও সেখান✃ে ꦕসূর্য দেখা গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, সকালেই সূর্য দেখ𓃲া যাওয়ায় দিনের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এখন থেকে প্রত🅷িদিন রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। ধীরে ধীরে শীত বিদায় নেবে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দেশের প্রায় সবখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। রাজধানীতে রোববারের চেয়ে অবশ্য সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য কমেছে। আবহ💟াওয়া অধিদপ্তর বলছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমার এই 🅷ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৩০ জা൲নুয়ারি) থেকে কমতে পারে শীতের দাপট। তবে জানুয়ারির শেষদিন কোনো কোনো জায়গায় হতে পারে বৃষ্টি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র সোমবার সকাল সোয়া আটটার দিকে জানান, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে, ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের শীতের আরেক ‘হটস্পট’ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্𝓰রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়, ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেꦿলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছিল ৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি ৭০ বছরের রেকর্ড ভেঙে তাপমাত𒁏্রা ছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজারেꦏর শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশে জানুয়ারি সবচেয়ে শীতলতম মাস। গতকাল রংপুর বিভাগꦗের সব জেলাতেই ছিল মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। অর্থাৎ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। রাজশাহী বিভাগের আট জেলাতেই ছিল মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। ঢাকায় এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় গত মঙ্গলবার।
তীব্র শীতে সবচেয়ে ভোগ🐬ান্তিতে ছিন্নমূল আর খেটে খাওয়া মানুষ। অন্যদিকে, ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই।আক্রান্তদের🏅 বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক।